—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের ক্ষেত্রেও এ বার বদলি নীতি কার্যকর করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বদলি হতে হবে এক পদে তিন বছর হলেই।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “এক জায়গায় দীর্ঘদিন থেকে গেলে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। ফলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বদলি হওয়াটাই কাম্য। সব দিক বিবেচনা করে এবং মন্ত্রিসভার সম্মতি নিয়ে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
দফতর সূত্রের বক্তব্য, সরকারি নীতিতে এক পদে কোনও কর্মীর মেয়াদ তিন বছরের বেশি সময় হয়ে গেলে তাঁকে বদলি করাই রীতি। তবে পঞ্চায়েত স্তরে তা পুরোপুরি মানা হত না। গত লোকসভা ভোটের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে নানা সময়ে সরব হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে বিভিন্ন আধিকারিক পড়ছেন তাঁর তোপের মুখে। জন পরিষেবার বিভিন্ন কাজকর্ম (প্রধানত পুরসভাকেন্দ্রিক হলেও পঞ্চায়েত স্তরেও সেই সমস্যা থেকে যায়) যে যথাযথ হচ্ছে না, তা প্রকাশ্যে মানছেন মমতা। ফলে তার প্রতিফলন এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত দফতর জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত, তাতে পঞ্চায়েত স্তরে কিছু কর্মী কোনও একটি জেলার মধ্যেই বদলি হবেন। কিছু কর্মীকে বদলি করা হবে জেলার বাইরেও। তবে সমস্যা থাকে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে। কোনও ক্ষেত্রে একটি জেলায় বা পঞ্চায়েতে একটিই পদ থাকায় সংশ্লিষ্টদের বদলির প্রশ্নও ওঠে না। দফতর সূত্রের বক্তব্য, নতুন ব্যবস্থায় ইঞ্জিনিয়ারদেরও বদলি হতে হবে। তবে এই ব্যবস্থায় কাজের প্রকৃতির সঙ্গে তাঁদের পদোন্নতির সুযোগও বাড়বে।