—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পকসো আইনের আওতায় দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট বিশেষ আদালত তৈরির প্রস্তাবে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার নবান্নে ওই বৈঠকে আপাতত পাঁচটি তেমন ফাস্ট ট্রাক বিশেষ আদালত গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে। আর জি কর আবহের মধ্যেই এই প্রস্তাব আনা হল মন্ত্রীসভার বৈঠকে। এই ধরনের আদালত গঠনের অগ্রগতি নিয়ে কিছুদিন আগেই রাজ্যের কড়া সমালোচনা করেছিল কেন্দ্র। ফলে এ দিন রাজ্যের পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠকের পরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিশুদের যৌন নির্যাতনের শিকার যাতে না হতে হয়, তাই উপযুক্ত আইনি প্রক্রিয়া এবং আদালত স্থাপনের পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। এ দিনও সরকার বুঝিয়ে দিল, তারা কতটা সজাগ রয়েছে। মনে রাখতে হবে, বিধানসভায় অপরাজিতা বিলও পাশ হয়েছে এমন অপরাধে চরম শাস্তির জন্য।’’
প্রসঙ্গত, আর জি কর-কাণ্ডের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট স্থাপনের আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্র পাল্টা চিঠি দিয়ে অভিযোগ তুলেছিল, এমন কোর্ট তৈরির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় প্রকল্প গ্রহণ করলেও, তা এগিয়ে নিয়ে যায়নি রাজ্যই। রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের তোলা উদাসীনতার সেই অভিযোগ খারিজ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। পাল্টা দাবি করেছিলেন, ইতিমধ্যেই অনেকগুলি এমন কোর্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং তা রাজ্যের নিজস্ব আর্থিক বরাদ্দেই। এ দিন চন্দ্রিমাও বলেন, ‘‘বিচার বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবকে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬২টি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে রাজ্যে। আরও পাঁচটির প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় সব মিলিয়ে ৬৭টি এমন আদালত হবে। এ ছাড়া রয়েছে ই- ছ’টি পকসো কোর্ট।’’ নিজস্ব সংবাদদাতা