আন্দোলনের নামে ছুটি নেওয়া যাবে না। ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি জোড়া নির্দেশনামার বিরুদ্ধে সুর চড়াল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রবিবার শহিদ মিনারের ধর্না মঞ্চে সাংবাদিক বৈঠক করে লাগাতার হুমকি দিয়ে সুর চড়াল সংগঠনের নেতৃত্ব। সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সারা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মী, শিক্ষক মহল, কারাখানার মালিকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তার কারণ দু’টি নির্দেশিকা। সেখানে ২২ তারিখে যে কর্মবিরতির কথা বলা হয়েছে, জানানো হয়েছে মধ্যাহ্নভোজের সময় খাওয়া দাওয়া ছাড়া আর অন্য কোনও কাজ করা যাবে না। আন্দোলনের নামে ছুটি নেওয়া যাবে না। সরকারের এমন নির্দেশিকায় আমাদের আপত্তি রয়েছে।
সংগঠনের তরফে ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘২২ তারিখে আমাদের সঙ্গে যে ৬২টি সংগঠন রয়েছে, তাঁদের কোনও কর্মবিরতির কোনও কর্মসূচি নেই। আমাদের সংগঠনের বাইরে অন্য কোনও সংগঠন কোনও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বলেও আমাদের জানা নেই। কিন্তু যদি কোনও সংগঠন কর্মবিরতি ডাকে এবং তাঁদের ইস্যুগুলি ঠিক থাকে, তাহলে তাতে আমরা নীতিগত সমর্থন দিতেই পারি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তবে আমরা সরকারপক্ষকে জানিয়ে দিতে চাই, যদি প্রয়োজন হয় তা হলে আমরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যেতে পারি। সরকারকে বলব, আমাদের প্ররোচনা দেবেন না।’’
উল্লেখ্য, গত প্রায় এক বছর ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) ইস্যুতে সংঘাত চলছে সরকারি কর্মচারীদের। কখনও কর্মবিরতি, কখনও বা প্রাশাসনিক ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন তাঁরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ছাড়াও এই কর্মসূচিতে শামিল থেকে কো-অর্ডিনেশন কমিটিও। তারা সরকারের এমন জোড়া নির্দেশিকার বিরুদ্ধেই মত প্রকাশ করেছে।
শনিবার নবান্ন থেকে জোড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অর্থ দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অফিসের কাজের সময় অন্য কোনও কর্মসূচি বরদাস্ত করা হবে না। এমনকি, মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতেও কোনও কর্মসূচিতে থাকা চলবে না। বিজ্ঞপ্তিতে নবান্ন আরও জানিয়েছে, উপযুক্ত কারণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস থেকে বেরোনো যাবে না। বেলা ১টা ৩০ থেকে ২টোর মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতেও অন্য কোনও কর্মসূচি পালন করা চলবে না। অন্যথায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের মুখে পড়তে হতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে। শুধু তাই নয়, সে দিন তিনি অফিসে গরহাজির ছিলেন বলেও ধরে নেওয়া হবে।