কলকাতা হাই কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা। এত দিন এই সংক্রান্ত মামলাগুলি শুনতেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। —ফাইল ছবি।
কলকাতা হাই কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা। এত দিন এই সংক্রান্ত মামলাগুলি শুনতেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে এখন তিনি ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন। ফলে পুলিশ সংক্রান্ত মামলাগুলির এ বার বিচার করবেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। অন্য দিকে, হাই কোর্টের নতুন ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলিও। সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলাগুলির শুনানি হত। এর পর থেকে ওই মামলাগুলির শুনানি হবে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী ৪ জুলাই থেকে উচ্চ আদালতে নতুন ‘রস্টার’ অনুযায়ী নতুন বেঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বিষয়ের মামলার শুনানি হবে।
এর আগে পুলিশ, সিবিআই এবং ইডি সংক্রান্ত মামলাগুলির বিচার করতেন বিচারপতি মান্থা। এখন পদোন্নতি হওয়ায় তিনি ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন। তাই হাই কোর্টের ‘মাস্টার অফ রস্টার’ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম তাঁর বিচারের বিষয়গুলি বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে পাঠিয়েছেন। আগামী মাস থেকে সেখানেই ওই মামলাগুলির বিচার হবে। আর বিচারপতি মান্থার নেতৃত্বে বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের বিচার্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে বৈবাহিক বিষয়ক, অত্যাবশ্যক পণ্য, বিদ্যুৎ, পরিবহণ, টেলি যোগাযোগ সংক্রান্ত মামলাগুলি। পুলিশের মামলায় একাধিক উল্লেখযোগ্য রায় রয়েছে বিচারপতি মান্থার। আইনশৃঙ্খলার কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না— এ নির্দেশ ছিল তাঁরই। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ওই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট এবং তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে। সব মিলিয়ে পুলিশ সংক্রান্ত মামলায় বরাবর আলোচনায় ছিলেন তিনি।
চলতি মাসে বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। এত দিন তাঁর নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি হত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের অনেক নির্দেশ তাঁর ডিভিশন বেঞ্চেও বহাল থাকে। সম্প্রতি ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশও কিছুটা বদল করে একই রেখেছিল বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁর অবসরের পর শিক্ষার মামলাগুলি যাচ্ছে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। গত বছর শিক্ষায় দুর্নীতি সংক্রান্ত এক মামলায় বিচারপতি সেন মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে এই দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তদন্ত যত এগিয়ে যাবে, তত দুর্নীতি প্রকাশ পাবে।’’