এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন। গত বার এই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। প্রতীকী ছবি।
এক ধাক্কায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেল চার লক্ষেরও বেশি। বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন। গত বার এই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। এ বার ছেলেদের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯০ হাজার ১৭২, মেয়েদের সংখ্যা তুলনায় বেশি, ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ২১।
প্রতি বারই মাধ্যমিকের তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানাচ্ছে, এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে আট লক্ষের কিছু বেশি। এই সংখ্যাটা আবার অন্য বারের তুলনায় বেশ কিছুটা বেশি। সংসদ-সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘করোনার সময়ে ২০২১-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা ১০০ শতাংশ পাশ করেছিল। তারাই এ বার উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছে। সঙ্গে অন্য বোর্ডের কিছু পড়ুয়াও রাজ্য বোর্ডে ভর্তি হয়েছে। তাই এত পরীক্ষার্থী।’’
মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমার পিছনে রামানুজের যুক্তি, ক্লাসরুমে পড়াশোনা হয়নি বলে হয়তো অনেকের পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিক মতো হয়নি। কেউ হয়তো টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। প্রশ্ন উঠেছে, গত দু’বছর অধিকাংশ স্কুলে অনলাইনে ক্লাস হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। তা হলে কি অনলাইন ক্লাস সফল নয়? রামানুজ বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়েই দেখা গিয়েছে, অনলাইন ক্লাস কখনই ক্লাসরুম ক্লাসের বিকল্প হতে পারে না। তবে যারা পরীক্ষা দিল না, তাদের ড্রপ আউট কোনওভাবেই বলা যাবে না।’’ শিক্ষকদের একাংশের অবশ্য দাবি, করোনায় পড়াশোনা ছেড়ে ড্রপ আউট হয়েছে অনেকেই। সেটাও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার পিছনে রামানুজের আরও যুক্তি, ‘‘২০১৭-র আগে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সময়ে বয়সের ক্ষেত্রে চার মাসের ছাড় পাওয়া যেত। ২০১৭ থেকে সেই চার মাসের ছাড় না থাকায় অনেক পড়ুয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। ফলে সংখ্যাটা তখনই কমে যায়। তারাই এ বার মাধ্যমিক দিচ্ছে।’’