পুরভোট নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। ফাইল চিত্র।
ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণার পর কলকাতা-সহ রাজ্যের পুরসভাগুলিতে বকেয়া ভোটের দাবি তুলতে শুরু করেছেবিরোধী দলগুলি। বর্তমানে রাজ্যে ১১৭টি পুরসভায় পুরভোট বকেয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কোনও কোনও পুরসভায় তো আবার দু’তিন বছর ভোট হয়নি। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র বলছে, চলতি বছর আর পুরভোটের সম্ভাবনা নেই।
কোনও পুরসভা এলাকায় পুরভোট করতে গেলে কমপক্ষে ৪৫ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়।এখনই যদি ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, তাহলে ভোট হবে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে। সেই সময় রাজ্য জুড়ে উৎসবের মরসুম। সেই পরিস্থিতিতে ভোট কোনওভাবেই সম্ভব হবে না। নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংশোধনের কাজ সম্পন্ন হবে আগামী বছর ৫ জানুয়ারি। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হলে, স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দলগুলি প্রশ্ন তুলতে পারে। ভোটার তালিকা সংশোধনের আগেই পুরভোট করে ভোটারদের ভোটাধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, এমন অভিযোগও উঠতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলির এমন অভিযোগ তোলার কোনও সুযোগ দিতে চাইছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শেষ হলেই আগামী বছরের শুরুতে হতে পারে পুরভোট। ১১৭টি পুরসভার সঙ্গেই ভোট হতে পারে নবগঠিত আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটা পুরসভার। তাই ভবানীপুর উপনির্বাচন-সহ জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জে ভোট হলেও, পুরভোটের জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতেই হবে রাজ্যবাসীকে।