অভিষেক চৌবে। ছবি: ফেসবুক
১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অভিষেক চৌবের বাড়িতে ফোন করত যে যুবক, সে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি, তত ক্ষণে সলিল সমাধি হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের। ওয়াকিলকে জানানো হয়েছিল, কোনও এক গোপন আস্তানায় ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে অভিষেককে। মুক্তিপণের টাকাটা এলেই ছেড়ে দেওয়া হবে। বখরার লোভে জাহিদ-সরফরাজদের ফাঁদে পা দিয়ে বসে মহম্মদ ওয়াকিল। তিন জনকে আলাদা করে জেরা করে তদন্তকারীরা এমনটিই জানিয়েছন।
পুলিশ জানায়, অভিষেকের মোবাইল থেকেই ফোন যেত বাড়িতে। কিন্তু জাহিদ, সরফরাজরা কেন ফোন করেনি? তদন্তকারীদের অনুমান, জাহির, সরফরাজদের চিনতেন অভিষেকের বাড়ির লোক। ফোনের ও প্রান্ত থেকে গলা চেনা শক্ত ছিল না। তাই অপরিচিত ওয়াকিলকে টাকার টোপ দিয়ে ফোন করানো হত।
২০ জানুয়ারি বিকেলে পড়তে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরোয় জগদ্দলের বাসিন্দা অভিষেক। পুলিশ জানতে পারে, জগদ্দলেরই গোলঘরের বাসিন্দা মহম্মদ জাহিদ হোসেন, মহম্মদ সরফরাজ ছোটবেলার বন্ধু অভিষেককে হুগলিঘাট এলাকায় নিয়ে গিয়ে জুবিলি সেতু থেকে ধাক্কা মেরে গঙ্গায় ফেলে দেয়। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসতে থাকে ।
তদন্তকারীদের দাবি, অভিষেককে খুনের কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে জাহিদ। প্রথমটায় তার কোনও তাপ-উত্তাপ ছিল না। তবে শনিবার রাতটা হাজতে কাটিয়ে এখন সুর নরম হয়েছে। রবিবার রাতে সে পুলিশকে বলেছে, ‘‘বড্ড ভুল হয়ে গিয়েছে। ওকে না মারলেই ভাল হত। আসলে টাকার লোভে করে ফেলেছি।’’ পুলিশের কাছে নাকি আবদারও করেছে, ‘‘এ বারের মতো ছেড়ে দিন স্যার। আর এমন ভুল হবে না।’’