জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
সংবাদমাধ্যমে প্রতি দিন প্রকাশিত খবরের তথ্য এখন থেকে পাঠাতে হবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়কে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, নির্বাচন সম্পর্কিত আইনশৃঙ্খলা-সহ সাতটি বিষয়ে রাজ্য এবং জেলাগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে রোজ।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, অতীতের ভোটগুলিতেও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রতিলিপি চেয়েছিল কমিশন। কিন্তু এ বার অনেক আগেই সেই নির্দেশ এসেছে। এর নেপথ্যে সন্দেশখালি-কাণ্ডের জল্পনা জোরদার হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, কয়েক দিন আগের সন্দেশখালি-কাণ্ডের তথ্য সরাসরি ভোটের সঙ্গে যুক্ত না হলেও, তা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ইডি-র আধিকারিক-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা আক্রান্ত হয়েছিলেন দুষ্কৃতীদের হাতে।
গত ১ ডিসেম্বর থেকে প্রতি দিনের আইনশৃঙ্খলা তথ্য এখন প্রতি সপ্তাহে পাঠাতে হচ্ছে জেলাশাসকদের। সন্দেশখালি ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও, এখনও ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অধরা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশ এবং প্রশাসনকে। ভোটের আগে কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও ঘটনার সবিস্তার রিপোর্ট চেয়েছে নবান্নের কাছে।
কমিশনের নির্দেশ, আইনশৃঙ্খলা ছাড়াও ভোটার তালিকা, ভুয়ো খবর, ভোট ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীদের মন্তব্য, ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র এবং অন্যান্য সম্পর্কিত ঘটনা নিয়ে হওয়া খবর পাঠাতে হবে দিল্লির নির্বাচন সদনে। ভোট ঘোষণার পরে এগুলির সঙ্গে যুক্ত হবে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ এবং বাজেয়াপ্ত তথ্য সম্বলিত খবরগুলিও।