দুই জেলার সঙ্গে বৈঠক করতে চান রাজ্যপাল

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সূচি শেষ পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকলে ২২ অক্টোবর প্রথমে ধামাখালি যাওয়ার কথা রাজ্যপালের।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

শিলিগুড়িতে বৈঠক করেছেন আগেই। এ বার উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রশাসনের একাংশের ব্যাখ্যা, নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের ‘সংঘাতের’ আবহে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সূচি শেষ পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকলে ২২ অক্টোবর প্রথমে ধামাখালি যাওয়ার কথা রাজ্যপালের। সেখানে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা সভাধিপতি, বসিরহাটের সাংসদ ছাড়াও স্থানীয় বিধায়ক ও জেলা প্রশাসনের অন্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তিনি। ওই কর্মসূচি শেষ করে সজনেখালি যাবেন রাজ্যপাল। সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, সভাধিপতি, জয়নগরের সাংসদ ছাড়াও বিধায়ক এবং অন্য প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্যপাল হলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। সেই পদমর্যাদার সুবাদে তিনি রাজ্যের যে-কোনও জায়গায় যেতেই পারেন। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা বা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলতেও কোনও বাধা নেই তাঁর। তবে এত দিন বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কোনও তথ্য জানতে অতীতের রাজ্যপালেরা মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব বা রাজ্য পুলিশের ডিজি-র মতো প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের রাজভবনে ডেকে পাঠাতেন। সেটাই কার্যত রীতিতে পরিণত হয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতেন। বর্তমান রাজ্যপাল জেলায় জেলায় গিয়ে সেখানকার প্রশাসনিক কর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন। অতীতে উত্তরবঙ্গে গিয়েও এমন

Advertisement

একটি বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে সেই বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তাদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠক শেষে প্রশাসনিক কর্তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মন্তব্যও করেছিলেন তিনি।

যাদবপুরে বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে অশান্তির পর থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পুজো-কার্নিভাল নিয়েও নিজের ‘অসন্তোষ’ তুলে ধরেছিলেন ধনখড়। পাল্টা সমালোচনা করতে ছাড়েননি একাধিক মন্ত্রীও। তার প্রত্যুত্তর শুক্রবার দেন রাজ্যপাল। এই অবস্থায় রাজ্যপালের সম্ভাব্য বৈঠকে জেলা প্রশাসনের কর্তারা থাকবেন কি না, তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement