নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই সরকারেরই জবাবদিহি দাবি করল বামেদের কৃষক সমাবেশ। বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলির সমন্বয় কমিটির আয়োজনে কৃষক জাঠা পথ পরিক্রমা করছে বিভিন্ন রাজ্যে। দিল্লিতে সমাবেশ করে কৃষক সংসদে প্রতীকী আইন পাশ করে তা শেষ হবে। সেই জাঠারই অঙ্গ হিসাবে কলকাতায় সমাবেশ ও মিছিল করে রবিবার মোদী-মমতাকে বিঁধেছেন যোগেন্দ্র যাদব, হান্নান মোল্লা, বি এম সিংহ, রাজারাম সিংহেরা।
আপ-এর প্রাক্তন ও বর্তমানে ‘জয় কিষাণ’ সংগঠনের নেতা যোগেন্দ্র শনিবার গিয়েছিলেন ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের গ্রামে। মৌলালির রামলীলা ময়দানে এ দিনের সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, ভাঙড়— বহু আন্দোলনের জায়গা। এই রাজ্য সরকার কৃষকের রক্তের উপর দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। কৃষকের ক্ষোভকে তারা কাজে লাগিয়েছিল। অথচ এখন কৃষকের রক্ত নিয়েই তারা খেলা করছে!’’ ভাঙড়ে নিহত মফিজুলদের পরিবার এখনও ডেথ সার্টিফিকেট পায়নি বলেও তাঁর অভিযোগ। ঘটনাচক্রে, এ দিনই ভাঙড়ের মাছিভাঙায় আন্দোলনকারীদের সভায় গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। কলকাতার সমাবেশে হান্নান, বি এম সিংহ, রাজারামেদের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ কৃষকদের উপরে রাজ্যে রাজ্যে গুলি চালাচ্ছে মোদী সরকার। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মানার কথা বলেও ক্ষমতায় এসে মোদী তা করেননি। রাজস্থানের কৃষক আন্দোলন যে ভাবে সরকারকে পিছু হঠতে বাধ্য করেছে, সর্বত্রই তেমন কর্মসূচি নেওয়ার ডাক দিয়েছেন কৃষক নেতারা।