RG Kar Medical College and Hospital Incident

সন্দীপ ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্কে বেআইনি লেনদেন, প্রয়োজনে জেরা করতে পারে ইডি, দাবি সূত্রের

সিবিআইয়ের মামলায় হেফাজতে থাকা সন্দীপ ঘোষ, তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিক্রম সিংহ এবং সুমন হাজরা ও দেহরক্ষী আশরাফ আলি খানকে জেরা করা হয়। চার জনের বাড়িতেই তল্লাশি হয়।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:৪১
Share:

সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের অনেকের হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে ধন্দে পড়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। আর জি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে অনেকের বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। তাতে ওই ব্যক্তিদের সম্পত্তি ফুলেফেঁপে ওঠার পিছনেও সন্দীপের হাত স্পষ্ট হচ্ছে বলে তদন্তকারীদের একাংশের প্রাথমিক মত। সম্প্রতি আদালতের অনুমোদন নিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

Advertisement

তদন্তকারীদের দাবি, আর জি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ‘ইসিআইআর’ (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করেও মামলা শুরু হয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় হেফাজতে থাকা সন্দীপ ঘোষ, তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিক্রম সিংহ এবং সুমন হাজরা ও দেহরক্ষী আশরাফ আলি খানকে জেরা করা হয়। চার জনের বাড়িতেই তল্লাশি হয়। সন্দীপ, তাঁর পরিজন এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের নামে একাধিক সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে।

কিন্তু ইডি সূত্রে দাবি, টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্পত্তির বিষয়ে সন্দীপের ঘনিষ্ঠরা বিশদ কিছু জানাতে পারেননি। সন্দীপ তাঁদের নামে ওই টাকা রাখেন বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ জোরালো হয়েছে। ওই টাকা কোন উৎস থেকে এসেছে, তা জানতে সন্দীপের আত্মীয়দের লিখিত বয়ানও নেওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, সন্দীপ, তাঁর পরিবারের কয়েক জনের এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আর জি করে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে ইডি-র সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে সন্দীপ ঘনিষ্ঠদের ভুঁইফোড় সংস্থার মাধ্যমে ওই সব দুর্নীতি করা হয়েছিল। সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিক্রম, সুমন ও আশরাফ আলির নামে ওই সব সংস্থা বলেও অভিযোগ। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, এক দিকে ওই সব সংস্থার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে হাসপাতালে ওষুধ থেকে চিকিৎসা সামগ্রীর দরপত্র বিলি করা হয়েছিল। আবার একই সঙ্গে ওই সব সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলেও দাবি। সব তথ্য তুলে ধরে সন্দীপ-সহ চার জনকে চেপে ধরা হয় বলে দাবি তদন্তকারীদের। তবে অভিযুক্তেরা সোজাসুজি জবাব এড়ানোর চেষ্টা করছেন। ইডির এক কর্তা বলেন, “সমস্ত তথ্য বিশেষ আদালতে বিচারকের কাছে পেশ করা হবে। প্রয়োজনে সন্দীপ-সহ চার জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন করা হতে পারে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement