—প্রতীকী ছবি।
জি২০ সম্মেলনে জায়গা পেল এ রাজ্যের ই-আবগারি প্রকল্প। সম্মেলনের আর্থিক ক্ষেত্রের উপস্থাপনায় ওই প্রকল্পের কার্যকারিতা তুলে ধরা হয়। প্রশাসনিক মহলের মতে, সুপরিকল্পিত ভাবে আবগারি ক্ষেত্রের অনলাইন সংস্কারের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই আন্তর্জাতিক স্তরে তা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, সম্মেলনের আর্থিক উপস্থাপনায় জিএসটি প্রাইম, ই-অকশন, ই-প্রোকিয়োরমেন্ট, ই-ইনভয়েস, ই-ওয়ে বিলের সঙ্গে ছিল রাজ্যের ই-আবগারি। তাতে অনলাইন আবেদনপত্র, লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা, অনুমোদন দেওয়া, মদের বরাত এবং জোগান— সবই একত্রে করা যাচ্ছে। সরকারের রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে অনেকটাই।
আবগারি দফতরের দাবি, এই পদ্ধতি চালুর পরে ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে এই খাতে রাজ্যের রাজস্ব ৩৫৮৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে (সংশোধিত বাজেটে) পৌঁছেছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকায়। প্রতি বছরে রাজস্ব বৃদ্ধির হার গড়ে প্রায় ২১%। তবে সেই তুলনায় মদ বিক্রির হার বেড়েছে ৪-৫%। এক কর্তার কথায়, “মদ খাওয়ার প্রবণতা তেমন না বাড়লেও রাজস্ব যে ভাবে বেড়েছে, তা উল্লেখযোগ্য। কারণ, অন্য রাজ্যগুলির বাৎসরিক রাজস্ব বৃদ্ধি ১০% ছাড়াতে পারেনি।”