এই ঘটনার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তজেনা তৈরি হয়। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও বাম কর্মীদের জমায়েত তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী।
তৃণমূল প্রার্থী স্নিগ্ধা মুখোপাধ্যায় মারধরের অভিযোগ করেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
এ বার তৃণমূল প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিরোধীদের বিরুদ্ধে। নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে। অভিযোগের তির সিপিএমের দিকে। ঘাসফুল প্রার্থী স্নিগ্ধা মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সিপিএম প্রার্থী দীর্ঘ ক্ষণ ধরে হুমকি দিচ্ছিলেন। প্রতিবাদ করতে গেলে আক্রমণ করেন। তার পর তাঁকে মাটিতে ফেলে জুতো দিয়ে মারা হয়।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন বাম প্রার্থী মৌমিতা মাহাতো দাস। পাল্টা তিনি শাসকদলের বিরুদ্ধেই অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেন। বাম প্রার্থী বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থী বহিরাগতদের এনে ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমরা হাতেনাতে এক জনকে ধরে ফেলি। তাঁকেই ছাড়াতে এসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তখন ধাক্কা লেগে তিনি পড়ে যান।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূল প্রার্থীকে কোনও মারধর করা হয়নি।
এই ঘটনার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তজেনা তৈরি হয়। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও বাম কর্মীদের জমায়েত তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী।
অন্য দিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন বহরমপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী। কংগ্রেস প্রার্থী তনুশ্রী ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছাপ্পা ভোট করতে চেয়েছিল। আমি প্রতিবাদ জানালে আমার উপর চড়াও হয়। তার পর ব্যাপক মারধর করে।’’ কংগ্রেস প্রার্থীর চোখের গোড়ায়, গালে এবং হাতে চোট লাগে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করে শাসক শিবির।