অয়ন শীল। — ফাইল চিত্র।
পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আবার তৎপর সিবিআই।
যাঁর কাছ থেকে প্রথম পুর নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মিলেছিল, সেই অয়ন শীলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার তোড়জোড় শুরু করল সিবিআই। এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতির ইডির মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন অয়ন।
সিবিআই সূত্রের দাবি, সম্প্রতি আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে অয়নকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আজ, শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলাকালীন অয়নের সল্টলেকের ফ্ল্যাট থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতির নথিপত্র উদ্ধার করেছিল ইডি। এরপরই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। ২০১৪-র পর থেকে রাজ্যের ৬০টির বেশি পুরসভায় অয়নের সংস্থার মাধ্যমে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে বলে দাবি করে সিবিআই।
তদন্তে নেমে ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের প্রায় ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির নথিপত্র উদ্ধার করেন। ওই ১৪টি পুরসভার প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের একাধিক কর্তাকেও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের দাবি, কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পুরসভায় বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। একাধিক প্রভাবশালীর কাছে অয়নের মাধ্যমে দুর্নীতির ওই কালো টাকা পৌঁছেছিল বলেও তদন্তকারীদের দাবি। সেই কারণেই অয়নকে জেরার প্রয়োজন বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা।