—প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো শিক্ষক মামলায় এ বার আদালতগঠিত তিন সদস্যের কমিটিকে কোর্টে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আগামী ২৩ জুলাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে ওই সদস্য়দের হাজিরা দিতে হবে। এর পাশাপাশি আরও দুই ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিআইডিকে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করতেও বলেছেন বিচারপতি। এই মামলাতেই রাজ্যের সব শিক্ষকের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এ দিন বিচারপতির নির্দেশ, ওই শিক্ষকদের (সংখ্যার হিসাবে প্রায় ১ লক্ষ ৬১ হাজার) বেতনের ব্যাপারে অর্থ দফতরকে রিপোর্ট দিতে হবে। আগামী ২৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালতের খবর, রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিব, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে নিয়ে ওই তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। কমিটিকে ভুয়ো শিক্ষক বাছতে বলেছিল কোর্ট। তদন্তে উঠে এসেছে যে সংগঠক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত এক ব্যক্তিকে স্থায়ী শিক্ষকের চাকরি দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে সেই অনুমোদন দেওয়া হল তা ওই কমিটির কাছে জানতে চাইবে কোর্ট।
প্রসঙ্গত, সোমা রায় নামে কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদের এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় প্রথমে মুর্শিদাবাদের গোঠা হাই স্কুলে ভুয়ো শিক্ষকের সন্ধান মেলে। অনিমেষ তিওয়ারি নামে ওই ব্যক্তি গোঠা হাই স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে। বাবা এবং ছেলে, দু’জনকেই গ্রেফতার করে সিআইডি। ভুয়ো নথির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ায় গ্রেফতার করা হয় এক প্রাক্তন জেলা স্কুল পরিদর্শক-সহ আরও কয়েকজনকে। তার পরে সেই মামলাতেই আরও কয়েকজন ভুয়ো শিক্ষকের সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁদেরও গ্রেফতার করে সিআইডি। এ দিন সোমার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম কোর্টে জানান যে কিছু মিশনারি স্কুলও নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম মানছে না। কোর্ট তাঁকে এ ব্যাপারে হলফনামা জমা দিতে অনুমতি দিয়েছে।