Railway

নিখোঁজ গার্ডের দেহ মিলল অজয়ে

পুলিশ ও রেল সূত্রে জানা যায়, রেলসেতুর থাম লাগোয়া অজয়ের এক ফালি চরে পড়েছিল দেবীপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় (৫৭) নামে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ওই গার্ডের দেহ। তিনি বীরভূমের রামপুরহাটে কর্মরত ছিলেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান ও রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ০৩:২৯
Share:

ভেদিয়ার কাছে রেললাইনের নীচে পড়ে রয়েছে গার্ডের দেহ। নিজস্ব চিত্র

ট্রেন স্টেশনে ঢোকার আগে গার্ডের কাছ থেকে সিগন্যাল পাননি চালক। ‘ওয়াকিটকি’তে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি। রেলকর্মীদের নিয়ে বিশেষ ট্রেনটি পূর্ব বর্ধমানের ভেদিয়া স্টেশনে দাঁড়ায়। কিন্তু সেটি ছাড়ার সময়ে স্টেশন ম্যানেজার সিগন্যাল দিলেও ফের গার্ডের কাছ থেকে সিগন্যাল না মেলায় সন্দেহ তৈরি হয়। দেখা যায়, নির্দিষ্ট কামরায় গার্ড নেই। রবিবার সকালে ট্রেনের পিছনে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে অজয় নদে মিলল গার্ডের দেহ।

Advertisement

পুলিশ ও রেল সূত্রে জানা যায়, রেলসেতুর থাম লাগোয়া অজয়ের এক ফালি চরে পড়েছিল দেবীপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় (৫৭) নামে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ওই গার্ডের দেহ। তিনি বীরভূমের রামপুরহাটে কর্মরত ছিলেন।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে কর্মীরা গিয়ে দেখেন, নির্ধারিত কামরায় তিনি নেই। ট্রেনের পিছনে থাকা ইঞ্জিন নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে অজয়ের জলে তাঁর দেহ মিলেছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’’ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ট্রেন থেকে পড়ে গার্ডের মৃত্যু হয়েছে। দেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আদতে বীরভূমের নলহাটির বানিওর গ্রামের বাসিন্দা দেবীপ্রসাদবাবু কয়েক বছর ধরে রামপুরহাটে বাড়ি করে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। শুধু রেলের কর্মীদের নিয়ে রামপুরহাট থেকে এ দিন ভোর সাড়ে ৫টায় ওই ট্রেনটি বর্ধমানের দিকে রওনা দেয়। সে জন্য ৫টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন দেবীপ্রসাদবাবু। তাঁর স্ত্রী জয়শ্রীদেবীর দাবি, বানিওর গ্রামে পারিবারিক জমিতে চাষ নিয়ে ইদানীং দুশ্চিন্তায় ছিলেন স্বামী। মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘দুপুরে ফিরে বাড়িতে খাবেন বলেছিলেন। কিন্তু সকাল ৮টা নাগাদ ওঁর সহকর্মীরা দুঃসংবাদ দেন।’’

পুলিশ জানায়, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। রামপুরহাট স্টেশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই ট্রেনে গার্ডের কামরায় দেবীপ্রসাদবাবু একাই ছিলেন। কী ভাবে এমন ঘটল, বুঝতে পারছি না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement