পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভার কমিটির বণ্টন নিয়ে তৃণমূলের একরোখা মনোভাব মেনে নিতে চাইছে না বিজেপি পরিষদীয় দল। বিধানসভার ২৬টি স্ট্যান্ডিং কমিটি ও ১৫টি অ্যাসেম্বলি কমিটির চেয়ারম্যান পদ বণ্টন নিয়ে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। যদিও, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান মনোনীত করার দায়িত্ব বিধানসভার স্পিকারের। তাই এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু বলার নেই। কিন্তু বিরোধী দল বিজেপি-র দাবি, ৪১টি কমিটির মধ্যে মাত্র ১০টির চেয়ারম্যান পদ তাদের দিতে চায় তৃণমূল। কিন্তু তা মেনে নিতে নারাজ তারা।
বিজেপি-র যুক্তি, ২০১৬-র বিধানসভা ভোট বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস মিলিত ভাবে ৭৭টি আসন পেয়েছিল। তখন বাম-কংগ্রেস জোটকে ১৫টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়া হয়েছিল। এ বার বিজেপি-ও সমসংখ্যক আসনে জিতেছে। তাই বিজেপিকেও ১৫টি চেয়ারম্যান পদ দেওয়া উচিত। বিজেপি ৭৭ আসনে জিতলেও দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকারের বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া এবং মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এখন বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ৭৪।
বিধানসভা সূত্রে খবর, ৪১টি কমিটিতে কোন কোন বিধায়ক থাকবেন, তা ইতিমধ্যেই স্থির হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত, কমিটি ও কমিটির চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষিত হবে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুতে। আর সেই সময়ই শাসক বিরোধী তরজা চরমে উঠতে পারে। কারণ, এমনিতেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শাসক শিবির কৌশলে পাবলিক একাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান পদে বসাতে পারে। ঠিক যে ভাবে ২০১৬ সালে বিরোধী দল কংগ্রেসের আপত্তি সত্ত্বেও পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল তৎকালীন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়াকে। ফলে পিএসসি-সহ কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়েও তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষে মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘কমিটির সংখ্যা বা কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে আমাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে কোনও কিছু চাপিয়ে দিলে, সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানাব।’’