পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি টেট চাকরিপ্রার্থীদের।
নিয়োগের দাবিতে পর্ষদের অফিস ঘেরাও করতে গিয়েছিলেন টেটের চাকরিপ্রার্থীরা। তবে পর্ষদের অফিসে পৌঁছনোর আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হল। নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের পর্ষদের দফতরে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। যার জেরে পুলিশের সঙ্গে কয়েক প্রস্থ হাতাহাতিও হয় ২০১৭ সালের নোটিফিকেশনের ভিত্তিতে পরীক্ষা দেওয়া টেট চাকরিপ্রার্থীদের।
বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সল্টলেকে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে ঘেরাও করার জন্য উল্টোডাঙা থেকে মিছিল করে রওনা হন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সল্টলেকে ঢোকার মুখেই বাধা পান তাঁরা। এর আগেও তাঁরা পাঁচবার নিয়োগের দাবিতে পর্ষদের অফিস এমনকি বিকাশ ভবনও ঘেরাও করার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। যদিও প্রতিবারই তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়। যেমন বুধবারও পরিস্থিতি সামলাতে চলে আসে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের বাধা দিলে, তাঁদের সঙ্গেই ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় টেট চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের। শেষপর্যন্ত পুলিশের ঘেরাটোপ পেরিয়ে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি টেট চাকরিপ্রার্থীরা।
বুধবার সল্টলেকের ওই এলাকার ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভরত টেট পরীক্ষার্থীদের পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। তাঁদের জোর করে বিক্ষোভ স্থল থেকে একটি বাসের ভিতর তুলে দেওয়া হয়। তবে বাসের ভিতর থেকেও ওই চাকরিরপ্রার্থীরা তাঁদের অভিযোগের কথা বলতে থাকেন।তাঁরা বলেন, ‘‘আমাদের দাবি অবিলম্বে আমাদের নিয়োগ করতে হবে। ২০১৭ সাল থেকে অপেক্ষা করছি আমরা। ওই বছর আমাদের নোটিফিকেশন দেওয়া হয়। অথচ পরীক্ষা হয় ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি। রেজাল্ট বের হয় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। গত পাঁচ বছর ধরে চাকরির জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোনও আশার আলো দেখতে পাইনি।’’ বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, আলোচনার বহু অনুরোধ সত্ত্বেও তা সফল না হওয়ায় পথে নেমেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এসএসসি-র মতো টেটেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগের আন্দোলনকারীদের নিয়োগের ব্যাপারে সাহায্যের চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন শাসক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তবে এসএসসি আন্দোলনকারীদের নেতার সঙ্গে অভিষেকের ওই বৈঠক চলাকালীনই তাঁর দফতরের বাইরে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা।তবে তাঁরা ছিলেন ২০১৪ সালের নোটিফিকেশনে পরীক্ষা দেওয়া টেট চাকরিপ্রার্থী। বুধবার সল্টলেকে বিক্ষোভ দেখালেন যাঁরা সেই ২০১৭ সালের নোটিফিকেশনে পরীক্ষা দেওয়া টেট চাকরিপ্রার্থীদের ঐক্য মঞ্চের তরফে সলিল মাহান্তি জানান, ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের ৪২ হাজার পদে ইতিমধ্যেই নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু আমাদের আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৮৯৬ জন পাশ করলেও তাঁদের কোনও নিয়োগ হয়নি।