অয়নের নামেই রয়েছে অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
টলিউডের মডেল শ্বেতা চক্রবর্তী তাঁর ‘বান্ধবী’ কি না তা স্পষ্ট নয় এখনও। যদিও নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে পাওয়া আরও একটি নথিতে দেখা গেল শ্বেতার নাম। আর ইনিও চক্রবর্তীই। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়িতে অন্তত ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি পাওয়া গিয়েছে। সাধারণ অ্যাকাউন্ট চালানোর জন্য যে সমস্ত নথিপত্রের দরকার হয়, সেই সবই হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের। তার মধ্যে যেমন অয়নের বাবার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তেমনই অ্যাকাউন্ট রয়েছে অয়নের স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের নামেও। কিন্তু পরিবারের সদস্য না হয়েও ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের একটিতে রয়েছে শ্বেতার নাম।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৮ জনের নামে অ্যাকাউন্টের তথ্য অয়নের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। এর মধ্যে অয়নের নামেই রয়েছে অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট। তার মধ্যে বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্কে। কিছু সরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও রয়েছে। তবে অয়ন ছাড়া আর যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরা হলেন অয়নের বাবা সদানন্দ শীল, স্ত্রী কাকলি শীল (কাকলির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও রয়েছে অয়নের), অভিষেক শীল এবং অমিতা শীল। এঁদের প্রত্যেকেরই ব্যাঙ্কের নথি, চেক বুক পাওয়া গিয়েছে অয়নের বাড়ি থেকে। এ ছাড়া হুগলির একটি পেট্রোল পাম্প—শুক্লা সার্ভিস স্টেশন এবং অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজেন প্রাইভেট লিমিটেডের নামেও দু’টি করে মোট চারটি অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে। আবার কিছু অ্যাকাউন্টের নম্বর এবং নথি পাওয়া গেলেও মালিকের নাম জানা যায়নি।
অয়নের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছিল ইডি। সেই সব লেনদেন একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে হয়েছিল বলেই ইডি সূত্রে খবর। শ্বেতার নামে থাকা অ্যাকাউন্ট থেকেও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে ইডি। একই সঙ্গে অয়নের বাড়িতে পাওয়া বিভিন্ন নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তি কেনাবেচার ক্ষেত্রেও ক্রেতা হিসাবে দেখানো হয়েছে শ্বেতাকে। সেই সমস্ত লেনদেনেও নজর দিয়েছে ইডি।