এর আগেও পার্থের বাড়ি থেকে কিছু পাওয়া যায়নি যুক্তি দিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবীরা। ফাইল চিত্র।
স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম কেন আসবে? আদালতের কাছে জানতে চাইলেন পার্থের আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, যেখানে দুর্নীতির অভিযোগের এফআইআরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নামই ছিল না, সেখানে কোনও প্রমাণ ছাড়া কী ভাবে তাঁকে ১০ মাস আটকে রাখা যায়?
নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত পার্থের শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে পার্থের জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতে একের পর এক যুক্তি দেন তাঁর আইনজীবী। পার্থের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বিচারককে বলেন, পার্থ একজন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আর নিয়োগে যে দুর্নীতি বা সুপারিশের কথা বলা হচ্ছে তা হয়েছে অনেক নিচু স্তরে। সুপারিশ এসেছে অনেক নিচু স্তর থেকে। তার পরে কেউ ওএমআর শিট তৈরি করেছেন। কেউ প্রশ্ন তৈরি করেছেন। একজন মন্ত্রীর এখানে কী ভূমিকা থাকতে পারে?
গত বছর ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কোটি নগদ অর্থও উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। অর্পিতার নামে করা একাধিক জীবনবিমার প্রাপক হিসাবে পাওয়া যায় পার্থের নাম। অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিক্ষা দফতরের খামও উদ্ধার করে ইডি। এর আগেও পার্থের বাড়ি থেকে কিছু পাওয়া যায়নি যুক্তি দিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবারও সেই একই কথা বলা হয়েছে।
তবে একই সঙ্গে একটি নতুন যুক্তিও দিয়েছেন পার্থের আইনজীবী। আদালতে তিনি বলেছেন, ‘‘পার্থ কী করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কী, তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে। শুধু কনস্পিরেটর বা মাস্টারমাইন্ড বলে দিনের পর দিন আটকে রাখা যাবে না।’’