ইংরেজি সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপিয়রের নাটক ‘ম্যাকবেথ’-এর একটি চরিত্র এই লেডি ম্যাকবেথ। গ্রাফিক—সনৎ সিংহ
গ্রুপ ডি মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার এক এক পক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের কথা বলছিলেন। কার কথা শুনবেন, তা ঠিক করছিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। নাম ধরে বলছিলেন ‘‘এ বার আপনি বলুন।’’ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর আইনজীবীর ডাক পড়তে তিনিও উঠে দাঁড়ালেন। তবে তিনি কিছু বলার আগেই বলে উঠলেন বিচারপতিই। তিনি বলেন, ‘‘কমিশনের অবস্থা তো এখন লেডি ম্যাকবেথের মতো! নিন, বলুন!’’
উইলিয়াম শেক্সপিয়রের নাটক ম্যাকবেথের একটি চরিত্র এই লেডি ম্যাকবেথ। প্রথমে উচ্চাভিলাষী এবং শেষে তীব্র অপরাধবোধে ভোগা এক চরিত্র। স্বামী ম্যাকবেথকে দিয়ে রাজহত্যা করিয়ে নিজে ডেনমার্কের রানি হয়ে বসেছিলেন লেডি ম্যাকবেথ। পরে সেই অপরাধই গিলতে শুরু করে তাঁকে। মানসিক যন্ত্রণায় জর্জরিত লেডি ম্যাকবেথ দেখতে শুরু করেন তাঁর হাত ভর্তি রক্ত। বার বার সেই হাত ধুয়ে ফেলতে চান তিনি। কিন্তু হাজার ধুলেও যায় না রক্ত। শেষে এই অপরাধবোধেই আত্মহত্যা করেন লেডি ম্যাকবেথ।
যদিও বিচারপতি সুব্রত তালুকদার কেন এসএসসির সঙ্গে লেডি ম্যাকবেথের তুলনা করেছেন তার কোনও বিশদ ব্যাখ্যা দেননি। এ নিয়ে ওই একটি বাক্য ছাড়া আর কোনও কথাই বলেননি বিচারপতি। স্কুলে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’তে এসএসসির একাধিক প্রাক্তন সভাপতি, উপদেষ্টা এবং শীর্ষ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এসএসসির তরফে বৃহস্পতিবার আদালতকে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা তো স্বীকার করছি, গাজিয়াবাদের নাইসাকে আমরাই ওএমআর শিটের বরাত দিয়েছিলাম। আমরা চাইছি আগের ভুল সংশোধন করতে। কোনও দুর্নীতির জন্য প্রতিষ্ঠানের বদনাম হতে পারে না।’’