ছবি সংগৃহীত
অতিমারি পরিস্থিতিতে বহু নিম্ন আদালতেই বিচারে বিলম্ব হয়েছে। জমেছে বকেয়া মামলার সংখ্যা। কিন্তু তারই মাঝে ব্যতিক্রমী ছবি দেখা গেল মালদহ জেলা আদালতে। একটি খুনের মামলায় ৫২ দিনে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে সেখানে। এই মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, শনিবার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব মিটেছে। মোট ১৭ জন সাক্ষী ছিলেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে রাজ্যে কোথাও এত দ্রুত সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতেই এই মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করছেন সরকারি কৌঁসুলি।
গত ২৬ অক্টোবর, দশমীর দিন মালদহের কালীবাড়ি রেল কলোনিতে খুন হন রেলকর্মী হনুমান রায় (৬০)। সেই ঘটনায় মোবারক এবং জাকির নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, মোবারকের সঙ্গে হনুমানের সমকামী সম্পর্ক ছিল এবং একটি ঘনিষ্ঠ ভিডিয়ো দেখিয়ে হনুমান মোবারককে ‘ব্ল্যাকমেল’ করতেন বলে ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছেন। সেই আক্রোশ থেকেই হনুমানকে তাঁর অবসরের চার দিন আগে খুন করেন মোবারক এবং তাঁর বন্ধু জাকির।
বিভাসবাবু জানান, খুনের পরে হনুমানের মোবাইল চুরি করেন অভিযুক্তেরা। জাকির তাতে নিজের একটি সিম কার্ড ঢুকিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই মোবারক এবং জাকিরকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতেরা জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেন। মোবারকের জামা এবং বাজেয়াপ্ত হওয়া অন্যান্য জিনিসের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়। চার্জশিট পেশের পরে অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচার পর্ব শুরু হয়। চার্জ গঠনের পরে মাস দুয়েক আগে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছিল। সাক্ষীদের তালিকায় ফরেন্সিক বিভাগের কর্তা, স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, দু’টি টেলিকম সংস্থার কর্তা ছিলেন। বিভাসবাবু বলেন, ‘‘এই মামলায় টেলিকম সংক্রান্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুই সংস্থার কর্তাকে সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়েছিল।’’