বুলবুলের প্রভাবে উত্তার সমুদ্র।
বুলবুলের প্রভাব কাটলেই ফিরতে পারে ঠান্ডার আমেজ। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এমনই মনে করছেন হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বুলবুলের প্রভাব কাটার দিন দুয়েক পর থেকে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের রাতের তাপমাত্রার পতন হতে পারে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতেই শীত থিতু হয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। তা হলে কি এ বার আগেভাগে শীত পড়বে?
বুলবুলের পরবর্তী সময়ে তাপমাত্রার পতন হলেও তা শীতকে থিতু করবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। তাঁদের অনেকের মতে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কাশ্মীরে তুষারপাত হচ্ছে। কিন্তু বুলবুলের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে জোলো হাওয়া ঢুকছে এবং সেই হাওয়া উত্তুরে বাতাসকে বাংলায় ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে বুলবুলের প্রভাব কাটলেই বাধাহীন ভাবে ঠান্ডা উত্তুরে হাওয়া বয়ে আসতে পারে বাংলার দিকে। তাতেই পারদ পতন হবে।
কিন্তু সেই প্রভাব সাময়িক হবে। সাধারণত, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রিতে থিতু না-হলে কলকাতায় শীত পড়ার ঘোষণা করে না হাওয়া অফিস।
সেই তাপমাত্রার পতনও ধাপে ধাপে হয়। তাই উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে ঝুপ করে কিছুটা পারদ পতন হলেও তাকে শীত বলতে নারাজ আবহবিদেরা।
বুলবুল শুক্রবার রাত থেকে উপকূলের কাছাকাছি আসার ফলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে ঘন মেঘ ছিল, সঙ্গে বৃষ্টি। তার ফলে এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি কম। ফলে জোলো ঠান্ডা দিনভরই মালুম হয়েছে। আবহবিদদের মতে, বুলবুলের প্রভাব কাটলে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে রোদ উঠবে। তাতে দিনের বেলা মাটি গরম হবে এবং রাতে আকাশ পরিষ্কার থাকায় মাটি দ্রুত তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হবে। তাতে দিনের ও রাতের তাপমাত্রারও ফারাক হবে।