পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে, অনড় পড়ুয়ারা

মঙ্গলবার অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বসেন কয়েকশো পড়ুয়া। ক্লাসও ডকে ওঠে। গোলমালের আশঙ্কা থাকায় পুলিশ আসে। রাত পর্যন্ত ধর্না, অনশন চলে। সন্ধের পরে দুই ছাত্রী অসুস্থ হন বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি। আলোচনার জন্য কলেজে পৌঁছন মহকুমাশাসক অদিতি চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৩
Share:

অসুস্থ: আন্দোলনকারী এক ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র

ক্লাস করি না করি, পরীক্ষায় বসতে দিতেই হবে— মঙ্গলবারও এই আবদার নিয়ে ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনশন কর্মসূচিও। সোমবার থেকে এই পরিস্থিতি চলছে কলেজে।

Advertisement

মঙ্গলবার অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বসেন কয়েকশো পড়ুয়া। ক্লাসও ডকে ওঠে। গোলমালের আশঙ্কা থাকায় পুলিশ আসে। রাত পর্যন্ত ধর্না, অনশন চলে। সন্ধের পরে দুই ছাত্রী অসুস্থ হন বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি। আলোচনার জন্য কলেজে পৌঁছন মহকুমাশাসক অদিতি চৌধুরী। যাচ্ছে চিকিৎসক দলও। কিছু সহ-শিক্ষককে নিয়ে রাত পর্যন্ত ছিলেন অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায়।

ছাত্রছাত্রীদের যুক্তি, না জেনে ভুল করেছেন। ৬০% হাজিরা না থাকলে পরীক্ষায় বসা যাবে না, এমন নিয়ম জানতেন না তাঁরা। এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘একটা বছর নষ্ট হতে পারে বুঝে টনক নড়েছে। নিয়মিত ক্লাস করলে এই দিন দেখতে হত না।’’ কলেজ সূত্রে খবর, অধিকাংশ পড়ুয়া নিয়মিত আসেন না। আসলেও ক্যাম্পাসে আড্ডা মারতে দেখা যায়। ক’বছর ধরে ফলও ভাল হচ্ছে না।

Advertisement

অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। কলেজের রেজাল্ট ভাল করতে সকলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যাঁরা পরীক্ষায় বসতে চান, তাঁরা আলাদা দরখাস্ত করুন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’’

টেস্টে অকৃতকার্য পড়ুয়াদের পাশ করানোর দাবিতে এ দিন কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী দিবা কলেজেও শিক্ষকদের প্রায় ছ’ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয়। শিক্ষকেরা জানান, কলেজ-কর্তৃপক্ষ আজ, বুধবার এই বিষয়ে বৈঠকে বসছেন। তার পরে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement