ফাইল চিত্র।
দাবি পূরণ হচ্ছে তাঁত শিল্পীদের।
রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাক তৈরির কাপড়ের থান বোনার পরিকল্পনায় যুক্ত তাঁতশিল্পীদের দাবি ছিল, সুতো বাবদ ‘ব্যাঙ্ক সিকিউরিটির’ পরিমাণ কমাক সরকার। এই শিল্পীদের প্রায় সকলেই নদিয়ার বাসিন্দা। শতকরা একশো শতাংশ ‘ব্যাঙ্ক সিকিউরিটি’ জমা রেখে অধিকাংশ শিল্পীর পক্ষে কাজ করা সম্ভব ছিল না।
তাঁত ব্যবসায়ীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্যাঙ্ক সিকিউরিটির পরিমাণ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারি সংস্থা ‘তন্তুজ’। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও বস্ত্রশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “ব্যাঙ্ক সিকিউরিটি ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।”
গত ৯ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে জেলার ধুঁকতে থাকা তাঁতশিল্পের পুনরুজ্জীবনে স্কুলের পোশাক স্থানীয় পাওয়ার লুমে বোনার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য তাঁত ব্যবসায়ীদের সুতো সরবরাহ করার দায়িত্ব ছিল রাজ্য সরকারি সংস্থা ‘তন্তুজ’-এর।
পরিকল্পনায় উৎসাহিত হয়ে নদিয়ার শান্তিপুর, ফুলিয়া, রানাঘাট, নবদ্বীপ-সহ বিভিন্ন অঞ্চলের বহু শিল্পী দামী র্যাপিয়ার মেশিন কিনে কাজে নেমে পড়েন। কিন্তু সুতোর জন্য তন্তুজের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা জানতে পারেন যে,
যত টাকার সুতো তাঁরা পাবেন তার সম পরিমাণ টাকা
সিকিউরিটি বাবদ ব্যাঙ্কে জমা রাখতে হবে। এর পরই থমকে যান তাঁরা।
ব্যাঙ্ক সিকিউরিটির পরিমাণ কমানোর জন্য লিখিত আবেদন করা হয় সরকারের
কাছে। তাতে সাড়া দিয়েছে রাজ্য সরকার। নদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শেখর সিংহ বলেন, “সরকারের তরফে
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ব্যাঙ্ক সিকিউরিটির পরিমাণ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে।”
শান্তিপুর তাঁতবস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তারকনাথ দাস জানান, “আমরা খুব খুশি।” অন্য দিকে, পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সম্পাদক রাজকুমার প্রামাণিকের কথায়, “আমাদের দাবি এই যে,
অন্তত একটা বছর কাজটা করতে দেওয়া হোক বিনা ব্যাঙ্ক সিকিউরিটিতে।” নদিয়ার হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট অফিসার পলাশ পালের বক্তব্য, “ব্যাঙ্ক সিকিউরিটি অনেকটা কমেছে। আশা করা যায় আর অসুবিধা হবে না।”