প্লাস্টিকে ঢেকে রাখা হয়েছে মূর্তি।—নিজস্ব চিত্র।
বড় দূর্গার পর এ বার বড় সরস্বতী। তবে খাস কলকাতার বুকে নয়, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সরস্বতীর দেখা মিলবে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। সেন্ট্রাল ডুয়ার্স প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রতিবছর সরস্বতীপুজোর আয়োজন হয় সেখানকার ডাকবাংলো ময়দানে। এ বছর ওই পুজো ২৩-এ পা দিল। সেই উপলক্ষে জমজমাট আয়োজন করা হয়েছে।
তবে সবচেয়ে বড় চমকটা রয়েছে দেবীর মূর্তিতেই। শিল্পী দয়াল পালের তত্ত্বাবধানে ১৫ জনের একটি দল গত একমাস ধরে ৫১ ফুট উঁচু মূর্তিটি তৈরি করেছেন। তবে এখানকার সরস্বতী দুই বা চার হাতের নন, বরং অষ্টভুজা। অষ্টভুজা এই সরস্বতী এখানে মাতঙ্গী সরস্বতী নামে পরিচিত।
এর আগে, সবচেয়ে বড় সরস্বতী মূর্তি বানানোর রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের দখলে। তাদের মাত দিতেই ৫১ ফুটের মূর্তি বানানোর কথা মাতায় আসে বলে জানিয়েছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি কৃষ্ণদেব। সম্পাদক অর্ণব সাহা এবং বাকিরা তাতে সম্মতি দিলে কাজ শুরু করা হয়। মূর্তিটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।—নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: কোটির বেশি খরচ করে দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন চন্দ্রবাবু! সরব বিরোধীরা
আরও পড়ুন: অপারেশনের সময় পেটের ভিতর থেকে গেল কাঁচি!
তবে শুধু উঁচু মূর্তি-ই নয়, এ বছর ডাকবাংলো ময়দানের পুজোয় অন্য আকর্ষণও রয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে আগ্রহী ছিলেন আয়োজকরা। সেই মতো থিম পুজোর আয়োজন করা হয়েছে সেখানে। জঙ্গল ছেড়ে অনেক সময়ই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হিংস্র পশুরা। প্রাণে বাঁচতে তাদের মেরে ফেলেন অনেকে। কিন্তু প্রাণে না মেরে, কীভাবে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন সাধারণ মানুষ, তাদের জঙ্গল অভিমুখে ফেরাতে পারেন, উত্সাহী দর্শককে তার উপায়ও শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে প্যান্ডেলের মধ্যে।
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজো কুইজ
এ ছাড়াও দিনভর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে। সংবর্ধনা দেওয়া হবে গুণীজনদের। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা যদিও দুশঅচিন্তা বাড়িয়েছে আয়োজকদের। তবে সবকিছু ভালয় ভালয় মিটে যাবে বলেই আশা তাঁদের।