নোবেল পদক চুরির শুনানি কি আজ

আইনজীবী সন্দীপ ঘোষচৌধুরী জানান, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন তাঁর মক্কেল জনৈক চঞ্চল জানা। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ নোবেল পদক চুরি যায়। ওই দিনই রাজ্যের প্রাক্তন মু্খ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সিবিআই-এর হাতে চুরি তদন্ত ভার তুলে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৭
Share:

রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক চুরির তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে ঘটনার সিআইডি তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে গত জুলাই মাসে। সেই মামলার দ্রুত শুনানির দাবি জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ডিভিশন বেঞ্চ মামলার আবেদনকারীর আইনজীবীকে সিবিআই-কে ফের মামলার নোটিস পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে । আজ, এই মামলার শুনানি হতে পারে।

Advertisement

আইনজীবী সন্দীপ ঘোষচৌধুরী জানান, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন তাঁর মক্কেল জনৈক চঞ্চল জানা। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ নোবেল পদক চুরি যায়। ওই দিনই রাজ্যের প্রাক্তন মু্খ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সিবিআই-এর হাতে চুরি তদন্ত ভার তুলে দেন। ২০০৭ সালে ৩ সেপ্টেম্বর সিবিআই বোলপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে জানায়, চুরির কিনারা হয়নি। পরের বছর ওই আদালতে সিবিআই একটি আবেদন করে জানায়, তারা আবার তদন্ত করতে চায়। আদালত অনুমতি দিক। ২০১০ সালে ওই আদালত জানায়, সিবিআই-এর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।

আইনজীবী জানান, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, রাজ্য পুলিশ ওই চুরির তদন্ত করবে। সেই মতো আইপিএস রাজীব কুমারের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত দল গড়া হয়। সিবিআই-কে রাজ্য সরকার জানায়, চুরির তদন্তের যাবতীয় নথি বিশ‌েষ দলের হাতে তুলে দিতে। কিন্তু সিবিআই তাতে রাজি হয়নি। সেই কারণেই হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থে মামলা করেন চঞ্চলবাবু। মামলার আবেদনে সিআইডি-র হাতে তদন্ত ভার তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে এও বলা হয়েছে, সিবিআই যাতে পুনরায় তদন্ত করতে শুরু না করে, সেই নির্দেশ দিক হাইকোর্ট।

Advertisement

এ দিন আবেদনকারীর আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চে জানান, সিবিআই-কে মামলার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সিবিআই তা নিতে অস্বীকার করেছে। তারা বলে, বেলা একটায় নোটিস গ্রহণ করে বেলা দু’টোয় শুনানির জন্য প্রস্তুত হওয়া সম্ভব নয়। তা শুনে ডিভিশন বেঞ্চ দেয়, ফের সিবিআই-কে নোটিস পাঠাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement