খেজুরিতে শুভেন্দু ৷ শনিবার | নিজস্ব চিত্র
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচির প্রস্তুতিতে শনিবার বিকেলে খেজুরিতে পদযাত্রা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পর হাই স্কুলের মাঠে জনসভা থেকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ১৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রশাসনিক বৈঠক করবেন, তখন তিনি কলকাতায় প্রকাশ্যে আনবেন ‘পিসি-ভাইপো’র দুর্নীতির খতিয়ান। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই ঘোষণাকে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করে বলেছে, সেই খতিয়ান শুভেন্দুর বাড়ি থেকে শুরু করা উচিত।
শনিবার দলীয় সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘নিমতৌড়িতে যে দিন উনি প্রশাসনিক মিটিং করবেন, ওই দিন কলকাতায় আমি সাংবাদিক সম্মেলন করব। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপো ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা শুধু দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় যে সব আর্থিক অনিয়ম করেছেন, তার তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরব।’’
বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের জবাবে তাঁর দিকেই পাল্টা আঙুল তুলেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দুর্নীতির কথা বলতে হলে ওঁকে শুরু করতে হবে নিজের পরিবার থেকে। পরিবারের ক’জন কোথায় সরকার বা প্রশাসনের পদে ছিলেন, সে সব বলতে হবে।’’ সেই সঙ্গেই কুণালের কটাক্ষ, ‘‘সারদা, নারদে গ্রেফতারের ভয়ে শুভেন্দুর দুর্নীতির কথা মনে পড়ল ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এসে!’’
১৩ তারিখ বিজেপির ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে আগেই মেদিনীপুরে পালিয়ে যাচ্ছেন। উনি পুলিশকে বলেছেন পারলে বাঁচাবেন। উনি মেদিনীপুরের মানুষকে বিশ্বাস করেন। তাই আসছেন। তবে মেদিনীপুরের লোক আবার ভূমিপুত্রদেরই বিশ্বাস করে।’’ কুণালের জবাব, ‘‘ভোটে হেরে এ বার কি নবান্নের দখল নিতে চান ওঁরা? যে রাজ্যের মানুষ মমতাকে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, তাঁরা শুভেন্দুর কাছ থেকে শিখবেন?’’
উল্লেখ্য, প্রশাসনিক বৈঠক করতে আগে দিঘা, কোলাঘাটে এলেও প্রায় ১০ বছর পরে জেলা সদর তমলুকে বৈঠক করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তবে তিনি থাকবেন খড়্গপুরে। সেখান থেকে সড়কপথে তমলুকের নিমতৌড়িতে পৌঁছবেন। প্রশাসনিক বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী বর্গভীমা মন্দির দর্শনেও যেতে পারেন বলে খবর।