নোয়াপাড়ার জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
ফের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘‘উন্নততর তৃণমূল মানে অনলাইনে কাটমানি যাবে।’’ বুধবার পলতা থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত ‘পরিবর্তন যাত্রা’য় একটি রোড-শোতে অংশ নেন তিনি। পরে নোয়াপাড়ার এক জনসভায় শুভেন্দু বক্তৃতাও করেন। সেখানে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।
সম্প্রতি কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে দলের তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা করেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিকল্প নেই। তৃণমূলের বিকল্প, উন্নততর তৃণমূল।’’ সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মাননীয়া এখন বলছেন উন্নততর তৃণমূল। উন্নততর তৃণমূল মানে কী? উন্নততর তৃণমূল মানে অনলাইনে কাটমানি যাবে? তাই তো?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উন্নততর তৃণমূলের মডেল কে? তোলাবাজ ভাইপো। সে মানেই তো বালি, কয়লা, পাথর, গরু।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘একজনকে জয় শ্রীরাম বললে রেগে যাচ্ছেন। আবার একজন তোলাবাজ বললে রেগে যাচ্ছেন। আমি তো কারও নাম বলিনি। এতে কাঁপার কী আছে? কেঁপে যাচ্ছেন। মঞ্চের এ দিক থেকে ও দিক ছুটছেন। এত রাগের কী আছে।’’ ‘ভাইপো’র মধ্যে তিনি আগামী দিনের অনিল বসুকে দেখতে পাচ্ছেন বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
বুধবার মালদহের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী দলত্যাগীদের ‘পচা আম’ বলে কটাক্ষ করেন। তার জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যাঁরাই তৃণমূল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, তাঁরাই নাকি পচা মাল। তা হলে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী কেন বিশ্বজিৎকে ‘কিরে কী ডিসিশন নিলি’ বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন? বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্বজিৎ বিকেলে আমাদের সঙ্গে পার্টি অফিসে। আর সুনীল সিংহ রাজ্যের নিরাপত্তা চাননি। তাঁকেও নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিল। আর আপনার তোলাবাজ ভাইপো তো বলছে, আড়াইশো সিট পাব। তা হলে বাকি ৪৪টা আমরাও দিয়ে দেব। বিজেপি নাকি সরকারি ভবনের রাজনৈতিক ব্যবহার করে। বিধানসভা কী তৃণমূলের পার্টি অফিস?’’
এর পরেই তাঁর নন্দীগ্রামে মমতার প্রার্থী হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন, বলে এসেছেন এখানে প্রার্থী হব। কিন্তু পরে বলছেন ভবানীপুরে দাঁড়াব। এ বার হাওড়ায় গিয়ে সভা করলে বলবেন, রাজীব চলে গেছে, তাই ডোমজুড়ে দাঁড়াব। তখন বলবে, ডোমজুড় আমার সেজো বোন। আবার হুগলিতে গিয়ে বলবে প্রবীর ঘোষাল চলে গেছে। আমি এ বার উত্তরপাড়ায় দাঁড়াব, উত্তরপাড়া আমার ছোট বোন।’’
শুভেন্দুর এই বক্তব্য নিয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত তৃণমূল যদিও কোনও মন্তব্য করেনি।