শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতহীন সেই বীরভূমে দাঁড়িয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জেলবন্দি কেষ্টকে নিয়ে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘বীরভূমের বীর কোথায়?’’ পাশাপাশিই, তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘অন্য চোরেরাও’ শীঘ্রই ধরা পড়বেন। এ নিয়ে শুভেন্দুকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘উনি নারদা মামলা অভিযুক্ত। বিজেপির দৌলতে আজ জেলের বাইরে। উনি এত বড় বড় কথা বলেন কী করে? ওঁর চুরির ভিডিয়ো আমরা দেখাইনি। বিজেপিই দেখিয়েছে।’’
রবিবার বীরভূমের মুরারইয়ে জনসভা করেন শুভেন্দু। সেখানে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘সন্ত্রাস’, আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’-সহ নানা বিষয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। অনুব্রতকে নিশানা করে বলেন, ‘‘কোথায় কেষ্ট মণ্ডল? বীরভূমের বীর কোথায়? কেষ্টবাবু কোথায় এখন? চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ, নকুলদানা, উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে, মনোনয়ন জমা দিতে দেব না, গুড় বাতাসা খাওয়াব বলা কেষ্ট মণ্ডল কোথায়?’’ অনুব্রতের-ঘনিষ্ঠেরা রেহাই পাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘কেষ্টর নীচে যাঁরা কাজ করতেন, সেই বিনয় ঘোষ, ভগৎভাই, আসগর আলি, এই ৪টে বড় চোর এখানকার। আরও আছে কি? সকলকে ধরা হবে। সব চোরকে জেলে ভরা হবে। একটু অপেক্ষা করুন। ভরসা রাখুন।’’
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হঠানোর ডাক দেন শুভেন্দু বলেন, ‘‘৩ গুণ করে টাকা তুলছে। অত্যাচার চলছে গরিবের উপর। অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আপনারা সবাই মিলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল নামের জঞ্জালটিকে বহিষ্কার করুন। বীরভূমের সাংগঠনিক জেলায় গত ১ বছরে এই নিয়ে ১৩ বার এলাম। কথা দিচ্ছি, ২০১৮ সালে যে ভাবে ভোট লুট করা হয়েছিল, এ বার তা হতে দেব না আমরা।’’ ‘নো ভোট টু মমতা’ স্লোগানও তোলেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘আবাস যোজনার টাকাও লুট হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না বাংলার মানুষ। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে রাজ্য। শৌচালয়ের টাকাও চুরি করেছে তৃণমূল। বগটুইয়ে এতগুলো মানুষকে পুড়িয়ে মারল। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়িতে ঢুকে দেয়নি মৃতদের পরিবার। পঞ্চায়েত ভোটে বুথ রক্ষা করতে হবে। হারাতে হবে তৃণমূলকে।’’