(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
রাজ্যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে ‘আক্রান্ত’দের নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনের সামনে ‘আক্রান্ত’দের নিয়ে ধর্না দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ‘শহিদ দিবস’ কর্মসূচির দিন ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্রহত্যা দিবস’ পালন করা হবে। কিন্তু সেই কর্মসূচি নিয়েও ভিন্নমত দেখা দিয়েছে বিজেপিতে। নির্দিষ্ট করে ২১শে জুলাই এমন কর্মসূচি হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শুভেন্দুর ঘোষণা ছিল, ওই দিন বেলা ১টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ‘শহিদ দিবসে’র মঞ্চে বক্তৃতা শুরু করবেন, তখন বিজেপি কর্মীরা রাজ্যের প্রতিটি থানায় মুখ্যমন্ত্রী ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবেন। কিন্তু রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠক শেষে সেই কর্মসূচির সম্ভবনা কার্যত খারিজ করে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘২১ জুলাই কর্মসূচি হবে, এমনটা কোথাও ঠিক হয়নি। আমরা ২১ থেকে ২৬ জুলাই কর্মসূচি নিয়েছি। যে দিন যে জেলার সুবিধা হবে, তারা কর্মসূচি করবে।” তা হলে বিরোধী দলনেতার ঘোষিত কর্মসূচির অনুমোদন কি দল দিল না? জবাবে সুকান্ত বলেন, “উনি (শুভেন্দু) কোনও কর্মসূচি ঘোষণা করেননি। উনি দলের কাছে প্রস্তাব দেবেন বলেছিলেন। আমরা ঠিক করেছি, ২১ থেকে ২৬ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা সপ্তাহ’ পালন করা হবে। কোথাও বিরোধী দলনেতা উপস্থিত থাকবেন, কোথাও আমি থাকব। কোথাও অন্য নেতারা থাকবেন।”
দলের রাজ্য কর্মসমিতির বর্ধিত বৈঠকে যোগ দিতে এসে দলের খারাপ ফলের জন্য সাংগঠনিক ত্রুটিকে দায়ী করেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহ। সাংগঠনিক রদবদলের প্রয়োজন আছে বলে দাবি করেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। প্রকাশ্যে মুখ খোলায় দলের এই দুই নেতাকে সুকান্ত কার্যত ভর্ৎসনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যদি কিছু বলার থাকে, সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে গিয়ে বলুন। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) কাছে গিয়ে বলুন। পর্যবেক্ষকদের কাছে গিয়ে বলুন। প্রকাশ্যে মুখ খোলা কখনওই উচিত নয়।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি দূর থেকে অর্জুনকে নামমাত্র তিরস্কার করেছেন এবং এখন ব্যারাকপুরের রাস্তা এড়িয়ে চলবেন বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।