উপনগরীর জমি নিয়ে সূর্যকান্তের কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীকে

সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে রাজ্যে ছ’টি উপনগরী তৈরির জমি কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার মধ্যে চাপান-উতোরের সাক্ষী থাকল বিধানসভা। ওই সব উপনগরী তৈরির সিদ্ধান্তে শুক্রবার সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৫ ০৩:৩৩
Share:

সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে রাজ্যে ছ’টি উপনগরী তৈরির জমি কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার মধ্যে চাপান-উতোরের সাক্ষী থাকল বিধানসভা। ওই সব উপনগরী তৈরির সিদ্ধান্তে শুক্রবার সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

Advertisement

কেন্দ্রের জমি অর্ডিন্যান্স জারির সমালোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় বলেন, ‘‘স্মার্ট সিটি (উপনগরী) তৈরির জন্য রাজ্য সরকার কোনও জমি অধিগ্রহণ করেনি। সব জমিই আমরা দিচ্ছি সরকারের ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে।’’

মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর কথায়, ‘‘স্মার্ট সিটির জন্য ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে জমির ব্যবস্থা করবেন। ল্যান্ড ব্যাঙ্ক, পাওয়ার ব্যাঙ্ক যা-ই হোক না কেন, সব ডিপোজিটই হয়েছে বামফ্রন্টের আমলে। এখন পুরনো ব্যালান্স ভাঙিয়ে খাচ্ছেন, আর তার কৃতিত্ব দাবি করছেন। নিজেরা নতুন কিছুই করতে পারেননি।’’ একই সুর বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অদ্ভুত। তৃণমূল সরকার জমি অধিগ্রহণ করল কোথায়! এ-সব বলার মানে কী!’’

Advertisement

নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, জমি ব্যাঙ্ক থেকেই নয়া উপনগরীর জন্য প্রয়োজনীয় জমি দেবে সরকার। যৌথ উদ্যোগের এই প্রকল্পের জন্য তৈরি নতুন সংস্থাকে ওই জমি দেওয়া হবে লিজ-চুক্তির ভিত্তিতে।

রাজ্যে যে ছ’টি নতুন উপনগরী গড়া হবে, সে-কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর পাশাপাশি সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে আরও কয়েকটি উপনগরী তৈরি করা হবে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানান, ওই সব উপনগরী তৈরি হবে দেবগ্রাম, বোলপুর, আসানসোল, কল্যাণী, ডুমুরজোলা ও বারুইপুরে। বোলপুর, আসানসোল ও কল্যাণীতে উপনগরী হবে ৫০ একর জমিতে। দেবগ্রাম, বারুইপুর এবং বোলপুরে যথাক্রমে ৮৫, ৮৬ এবং ১২৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে উপনগরী।

ডোমজুড় ছাড়া পাঁচটি উপনগরীর নামকরণও সেরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেমন, দেবগ্রামের উপনগরীর নাম তিস্তা, আসানসোল ও কল্যাণীর নাম অগ্নিবীণা ও সমৃদ্ধি, বারুইপুর ও বোলপুরের নাম উত্তম ও গীতবিতান। উপনগরী তৈরির জন্য শীঘ্র ই-টেন্ডার ডাকবে সরকার। মন্ত্রী জানান, বেসরকারি উদ্যোগে উপনগরী তৈরির প্রস্তাবকেও স্বাগত জানানো হবে। সে-ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ একর জমি থাকলেই কোনও বেসরকারি সংস্থা উপনগরী গড়ার জন্য আবেদন জানাতে পারবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement