West Bengal TET 2022

ডিএলএড প্রশিক্ষণ থাকলে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে অসুবিধা নেই পরীক্ষার্থীদের: সুপ্রিম কোর্ট

এই মামলাটিতে এর আগে কলকাতা হাই কোর্টও এই একই রায় দিয়েছিল। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ১৯:৫৫
Share:

গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।

বিএড-এর প্রশিক্ষণ রয়েছে আবার ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণও নেওয়া আছে। ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় বসা এমন বহু পরীক্ষার্থীই তাঁদের ফর্মে শুধু বিএড প্রশিক্ষণের উল্লেখ করেছিলেন। আর তা থেকেই তৈরি হয়েছিল জটিলতা। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের একটি নির্দেশে জানিয়েছিল, বিএড প্রশিক্ষিতেরা প্রাথমিকের নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২২ সালের টেটে যাঁরা নিজেদের বিএড প্রশিক্ষিত হিসাবে দেখিয়েছিলেন, তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছিলেন না। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ওই সংক্রান্ত জটিলতা কাটল। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, পরীক্ষার্থীরা ফর্মে যা-ই লিখে থাকুন, ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলেই তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।

Advertisement

মামলাটিতে এর আগে কলকাতা হাই কোর্টও একই রায় দিয়েছিল। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাটির ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চ পর্ষদের আর্জি খারিজ করে হাই কোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে।

২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় ১২ হাজার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণও করেছেন বহু পরীক্ষার্থী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জেরে পরীক্ষার ফর্মে ‘বিএড’ লেখা পরীক্ষার্থীদের ওই প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়। যার বিরোধিতা করে পর্ষদের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই পরীক্ষার্থীরা। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতকে জানিয়েছিলেন, মামলাকারীদের প্রত্যেকেরই ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া রয়েছে। কিন্তু তাঁরা পরীক্ষার ফর্মে ‘বিএড’ লিখেছেন। শুনে হাই কোর্ট রায় দিয়েছিল মামলাকারীদের পক্ষেই। আদালত বলেছিল, যে হেতু পরীক্ষার্থীদের ডিএলএড প্রশিক্ষণ রয়েছে, তাই তাঁদের ফর্মগুলিকে ডিএলএডেই পরিবর্তন করে নেওয়া হোক। পর্ষদ যদিও সেই নির্দেশ মানেনি।

Advertisement

হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় পর্ষদ। তাদের যুক্তি ছিল, প্রাথমিকের প্রশিক্ষণ ডিএলএড— সে কথা জানা সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীরা ফর্মে ‘বিএড’ লিখেছেন। তার পরেও তাঁদের সুযোগ দেওয়া হবে কেন? পর্ষদের ওই যুক্তি অবশ্য সুপ্রিম কোর্টে গ্রাহ্য হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement