নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতারির পর বেশ কয়েক বার অসুস্থ হয়েছেন। সোমবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। —ফাইল চিত্র।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে সোমবার সন্ধ্যায় আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
সোমবার সকালেই তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সূত্রে খবর, সোমবার সকালে হঠাৎ সংজ্ঞা হারান তিনি। হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ‘কাকু’। সেই সংক্রান্ত অসুস্থতা থেকেই তিনি সংজ্ঞা হারান বলে মনে করা হচ্ছে। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সন্ধ্যায় তাঁকে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
এর আগেও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণকে। এ বারও সেই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন জানান ‘কাকু’র আইনজীবী। বিচার ভবন থেকে সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এর পরেই সোমবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে।
সোমবার সকালেই বিচার ভবনে সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মক্কেলকে স্থানান্তরের জন্য আবেদন জানান। তিনি জানান, আলিপুরের ওই হাসপাতালে এর আগেও চিকিৎসা হয়েছে সুজয়ের। অভিযুক্তের অস্ত্রোপচারও হয়েছে ওই হাসপাতালে। তবে অভিযুক্তের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা প্রয়োজন বলে আদালতে জানান ইডির আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক জানান, চিকিৎসার প্রয়োজনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে ‘কাকু’কে ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। কলকাতা পুলিশ তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে বলে জানায় আদালত।
এ দিকে বিচার ভবনে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ইডির মামলায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সোমবারও শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ‘কালীঘাটের কাকু’-র শারীরিক অসুস্থতার কারণে চার্জ গঠন প্রক্রিয়ার শুনানি সম্ভব হয়নি এ দিন। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী ২ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে। সব ঠিক থাকলে এই মামলায় সে দিনই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে আদালত।