সুগত বসু
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পথে নেমে আন্দোলন করতে চান প্রাক্তন সাংসদ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক সুগত বসুও। রবিবার জিডি বিড়লা সভাগৃহে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা পথে নেমে আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে আছি। আশা করি, একটা সুযোগ পাব, যখন পথে নেমে প্রতিবাদ করতে পারব।’’
এ দিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং সেই সূত্রে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কড়া সমালোচনা করেন সুগতবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘এটা যে নাগরিক-বিরোধী নাগরিকত্ব আইন, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সংবিধানের অনেক ধারাকে লঙ্ঘন করেছে এই আইন। সব চেয়ে বড় কথা, এই আইন দেশের ইতিহাস, রীতিনীতি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিরোধী।’’ তিনি মনে করেন, সংসদে আরও জোরালো ভাবে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা হওয়া উচিত ছিল। ‘‘মাঝেমধ্যে মনে হয়, এই সময়ে সংসদে যদি থাকতে পারতাম। তাতে সংশ্লিষ্ট বিলটির আইনে পরিণত হওয়াটা আটকাতে না-পারলেও নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারতাম।’’
ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, ‘স্বরাজ ভারত’-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক যোগেন্দ্র যাদবকে আটক করার মতো পুলিশি পদক্ষেপের সমালোচনা করে সুগতবাবু বলেন, ‘‘এঁরা (নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ) প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। শুধু সংখ্যাগুরুর অস্তিত্বে বিশ্বাসী। ছাত্রসমাজ সাহস দেখিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে। এটাই একমাত্র আশার আলো।’’ তিনি জানান, তরুণ প্রজন্মকে ‘অচ্ছে দিনে’র স্বপ্ন দেখিয়ে মোদী-শাহ ক্ষমতায় এসেছেন। সেগুলো যে ধাপ্পা ছিল, যুবসমাজ এখন তা উপলব্ধি করতে পেরেছে।
ইতিহাসের অধ্যাপক সুগতবাবু বলেন, ‘‘দেশভাগের চেয়েও বড় ভেদাভেদ তৈরি করছে মোদী-শাহের সরকার। সেই জন্যই শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন সব মানুষের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতা করা উচিত।’’