ফাইল চিত্র।
টিচার ইনচার্জ এবং অন্য শিক্ষকদের ঘেরাও করে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ চলে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজে। ন্যূনতম হাজিরা না-থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে পড়ুয়াদের সেই বিক্ষোভে মঙ্গলবারেও উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলেজ-প্রাঙ্গণ। এবং বিক্ষোভ পৌঁছে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও। ওই কলেজের ৫৫-৬০ জন পড়ুয়া এ দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে বেশ কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের সরিয়ে দেন। আজ, বুধবার ওই পড়ুয়ারা এই বিষয়ে বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস) বা পছন্দসই মিশ্র পাঠ চালু হওয়ার পরে কলেজে কলেজে পড়ুয়াদের হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় হাজিরা না-থাকায় সেন্ট পলস কলেজের প্রায় ৪০০ জন পড়ুয়ার নামের একটি তালিকা সম্প্রতি নোটিস বোর্ডে টাঙানো হয়। তার পরেই পড়ুয়াদের একাংশ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সোমবার রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হয় কলেজের টিচার ইনচার্জ দেবাশিস মণ্ডলকে। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। সেই সময় বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। দেবাশিসবাবু জানিয়ে দেন, ওই তালিকার কথা তাঁর জানা নেই। ওই তালিকায় কোথাও তাঁর সইও নেই।
পড়ুয়ারা এ দিন প্রথমে সেন্ট পলস কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। টিচার ইনচার্জকে কলেজে না-পেয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সানু দাস নামে এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘ওই তালিকা ভুল বলছেন স্যর। তা হলে আমাদের ওই তালিকা দেখতে বলা হয়েছিল কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কাজ হয়নি। কাল (বুধবার) আমরা শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হবো।’’