আগামী ৪ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত রাজ্যে মোট সাত দফায় বিধানসভা ভোট হবে বলে শুক্রবার ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক শিবিরগুলিতে তা নিয়ে মাতনের শেষ নেই। কিন্তু ঘোর দুশ্চিন্তায় স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষার্থী ও
অভিভাবকেরা। কারণ, ওই সময়েই সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ড এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। ভোটের ডামাডোলে জীবনের সেই সব পরীক্ষার কী হবে, সেই দুশ্চিন্তায় ব্যাহত হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুতি।
লোকসভা হোক বা বিধানসভা নির্বাচন, অনেক ক্ষেত্রেই ভোট আর পরীক্ষা পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই লড়াইয়ে হেরে যায় পরীক্ষা। এ বারেও বিধানসভার ভোটে প্রমাদ গুনছে বিভিন্ন পরীক্ষা। লড়াইয়ের আগেই ময়দান ছেড়ে দিয়ে বসে আছে গৌড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার বঙ্গ বিধানসভার সুদীর্ঘ নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে পরেই পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছে তারা। শুক্রবার বেশি রাত পর্যন্ত আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদ পরীক্ষা পিছোনোর কথা জানায়নি ঠিকই। কিন্তু বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ যে এই নিয়ে চিন্তিত, এ দিন তা জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, চিন্তাভাবনা চলছে।
ভোটের মধ্যে কলকাতা-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা রয়েছে। যেমন ১ এপ্রিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের স্নাতক স্তরের পার্ট-৩ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। শেষ হওয়ার কথা ১২ এপ্রিল। প্রায় দু’লক্ষ ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই সময়েই রাজ্যের প্রথম দু’দফা (৪ এবং ১১ এপ্রিল) ভোট রয়েছে। এই অবস্থায় সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) স্বাগত সেন বলেন, ‘‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মঙ্গলবার।’’
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট-৩ পরীক্ষা চলার কথা ২৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। ৪ এপ্রিল প্রথম দফা ভোটের দিনেই পরীক্ষা রয়েছে। আজ, শনিবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষও জানান, ভোটের সময় পরীক্ষা রয়েছে। তবে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র জানান, স্নাতক পার্ট-১ এবং পার্ট-২ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২১ এবং ২২ মার্চ। শুক্রবারেই সব স্থগিত রাখা হয়েছে।
সিবিএসই দ্বাদশের পরীক্ষা রয়েছে ৪ এবং ১১ এপ্রিল। আইএসসিই-র দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষা ৪ এপ্রিল। সেগুলোর কী হবে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত তা জানা যায়নি।