সুব্রত বক্সী
তৃণমূল নেতৃত্ব জানেন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তাঁদের দল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। পঞ্চায়েত ভোটে তার কুপ্রভাব পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে শাসক দলের নেতাদের। এই অবস্থায় শনিবার বারাসতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি সম্মেলনে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, ‘‘দলনেত্রী যাঁকেই দাঁড় করাবেন, তিনি কানা, খোঁড়া, শিক্ষিত, অশিক্ষিত— যা-ই হোন, তাঁকে নিয়েই লড়াই করতে হবে।’’
এ বিষয়ে কোনও বিচ্যুতি যে বরদাস্ত করা হবে না, সে নিয়েও এ দিনের সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
বারাসতের কাছারি ময়দানে এ দিন পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি সম্মেলনে সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘তৃণমূলের পতাকা নিজের আর পরিবারের জন্য ব্যবহার করা চলবে না। উদ্ধত আচরণ করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, দল ধাক্কা দিলে আর কোথাও জায়গা থাকবে না।’’
সমস্ত সমস্যা ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীকে হারাবার দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।’’ বড় ধরনের অভিযোগ না থাকলে অধুনা পঞ্চায়েতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই আসন্ন ভোটে টিকিট পাবেন বলে জানান দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। জেলা সভাধিপতি রেহেনা খাতুন, স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক নির্মল ঘোষ প্রমুখ ওই সম্মেলনে ছিলেন। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে প্রচুর কাজ হয়েছে। উন্নয়নের ধারবাহিকতার জন্যই আমরা গত বারের চেয়ে বেশি আসন পাব।’’
আরও পড়ুন: বঙ্গে প্রভাব কী, শুরু বিতর্ক
সম্প্রতি বারাসতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও যাত্রা উৎসবে তালিকায় নাম না থাকায় ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের পুত্র বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে। তবে এ দিন সম্মেলনে শুভ্রাংশুকে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘‘দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই আমি এসেছি। বাবা দল ছাড়ায় দলের সঙ্গে আমারও একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেটা মিটে গিয়েছে। বাবা-ছেলের সম্পর্কটা পারিবারিক আর রাজনৈতিক লড়াইয়ের জায়গাটা আলাদা।’’