Illegal Drug trade

মাদক ব্যবসার টাকা কে দিচ্ছে, খুঁজছে এসটিএফ

গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের দাবি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাদক কারবারিদের টাকা জোগায় বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এবং বিদেশি শত্রুরা। এ ক্ষেত্রেও মাদক ব্যবসার সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগ মিলেছে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:১৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মাস খানেকের মধ্যে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় কুড়ি কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। পাকড়াও করা হয়েছে মাদক কারবারিদের। তবে সে সবের বাইরেও নতুন একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে গোয়েন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, এত মোটা অঙ্কের টাকা মাদক ব্যবসায় বিনিয়োগ করা ধৃত কারবারিদের পক্ষে সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে এই ব্যবসায় টাকার জোগান অন্য কোনও জায়গা থেকে আসছে। সেই জোগানদার কারা, তা এখনও জানতে পারেননি তদন্তকারীরা।

Advertisement

গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের দাবি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাদক কারবারিদের টাকা জোগায় বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এবং বিদেশি শত্রুরা। এ ক্ষেত্রেও মাদক ব্যবসার সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগ মিলেছে। তাই মাদক ব্যবসায় টাকার জোগান নিয়ে চিন্তা আরও বাড়ছে বলেই গোয়েন্দাদের দাবি।

গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, কোনও একটি চক্র থেকে টাকার জোগান যে আসছে, সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। তবে সেই টাকা বিভিন্ন এজেন্ট হয়ে একেবারে নিচুতলার কারবারিদের হাতে আসছে। ব্যবসার সামনে থাকছে ওই কারবারিরাই। কাঁচামাল আসছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, ওড়িশা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মাদক তৈরির কারখানা খোলা হয়েছে। সেখানে মাদক তৈরি হয়ে তা রাজ্য এবং দেশের নানা প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে।

Advertisement

এ পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা, বাদুড়িয়া, মুর্শিদাবাদের লালগোলা, নদিয়ার পলাশি-সহ বিভিন্ন জায়গায় এমন কারখানার সন্ধান মিলেছে।

এত তথ্য হাতে আসার পরেও মাদক কারবারের টাকার উৎসে কেন গোয়েন্দারা পৌঁছতে পারছেন না, সে প্রশ্ন অবশ্য উঠেছে। তদন্তকারীদের একাংশের মতে, টাকার জোগানদার এবং মাদক কারবারের একেবারে সামনে থাকা ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্তরে-স্তরে দালাল বা এজেন্ট আছে। টাকার জোগানদারেরা কোনও ভাবেই মাদক কারবারিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে না। তাই টাকার জোগান ঠিক কে দিচ্ছে, তা ওই কারবারিরাও জানে না। তাদের জেরা করে এজেন্টদের নাম পাওয়া যাচ্ছে। সেই এজেন্টদের বেশির ভাগই ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা। সেই এজেন্টদের গ্রেফতার করলেও আর এক স্তরে পৌঁছনো যাবে।

এই মাদক চক্র নিয়ে রাজ্যের এক গোয়েন্দা-কর্তার মন্তব্য, ‘‘এ এক বিরাট চক্র। বহু প্যাঁচ ছাড়িয়ে তবে হয়তো একেবারে আসল মাথার কাছে পৌঁছনো যেতে পারে।’’ ওই গোয়েন্দা-কর্তা এ-ও বলছেন, এখনও পর্যন্ত যে ক’টি মাদকের কারখানার হদিস মিলেছে তার বেশির ভাগই সীমান্তবর্তী এলাকায়। তাই সীমান্ত পেরিয়ে এই চক্র কাজ করছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement