শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন স্কুলের ঐতিহ্য ও নিজস্বতার দাবি আর যুক্তিরই জিত হল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুলপোশাক নিয়ে সরকার কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না। রাজ্যের সব সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে পড়ুয়াদের পোশাকের রং পাল্টে নীল-সাদা করার কথা ছিল। কিন্তু নিজেদের চিরাচরিত পোশাকের বদলে নীল-সাদা পোশাক নিতে অনেক স্কুলই অস্বীকার করে। কারণ হিসেবে স্বাতন্ত্র্যের কথা বলছিল তারা। শিক্ষা শিবিরের পর্যবেক্ষণ, সরকার যে এই বিষয়ে জোর করার পথে হাঁটতে নারাজ, মন্ত্রীর ঘোষণায় সেটা স্পষ্ট।
এ দিকে, বহু স্কুলেই এখনও পোশাক পৌঁছয়নি। শিক্ষকেরা জানান, প্রাথমিকে কিছু স্কুল এক বা দুই সেট পোশাক পেলেও অনেক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা এক সেটও পায়নি। কিছু স্কুল এক সেট পেয়েছে। স্কুলশিক্ষা দফতরের কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুজোর আগে সব স্কুলকে অন্তত এক সেট করে পোশাক দেওয়ার প্রবল চেষ্টা চলছে।’’
যে-সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পোশাক পেয়েছে, তাদেরও অধিকাংশ ক্ষেত্রে হাফপ্যান্ট এসেছে বলে অভিযোগ। অনেক স্কুলই তা নিতে চাইছে না। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘‘বসিরহাট ব্লকে কিছু উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে এক সেট পোশাক এলেও সব হাফপ্যান্ট। কিন্তু পড়ুয়ারা ফুলপ্যান্ট চাইছে।’’ ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি জানান, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের অনেকেই হাফপ্যান্ট নিতে রাজি নয়।
শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্ব বাংলা লোগোর সরবরাহ ঠিক নেই বলেই পোশাক পেতে দেরি হচ্ছে। মজুরি কম বলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী দ্রুত পোশাক তৈরি করে দিতে কোনও রকম উৎসাহই পাচ্ছে না।