—ফাইল চিত্র।
জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় এখনই হাল ছাড়তে নারাজ রাজ্য। কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ এই মামলাকে ছেলেমানুষি বলে আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করলেও তারা হার মানছে না। বুধবার বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। মামলা দায়ের করার অনুমতি মিলেছে। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার বিধানসভায়। সেখানে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা। ওই একই সময়ে তৃণমূলের বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। তুলছিলেন সরকার-বিরোধী স্লোগান। তৃণমূল বিধায়কেরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়েও বিজেপি শিবির থেকে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্পিকারের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা পড়ে। ওই ১২ জনের তালিকায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের নামও ছিল। পরে সেই নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এই ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র লালবাজারে পাঠিয়ে দেন স্পিকার। সেখান থেকে বিধায়কদের নোটিস পাঠিয়ে তলব করে কলকাতা পুলিশ। এফআইআরটিকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়কেরা। তারই
শুনানিতে বিচারপতি রাজ্যকে ওই মামলার জন্য ভর্ৎসনা করে বলে, ‘‘এটি একটি ছেলেমানুষি মামলা। একই সঙ্গে এ-ও জানিয়ে দেয় যে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা মামলায় বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।’’