বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার এবং সৌমিত্র খাঁ-ও। —ফাইল চিত্র।
ইঙ্গিত সব দিক থেকেই ইতিবাচক ছিল। সব রকম প্রস্তুতিও সেরে রেখেছিলেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু বুধবার বিজেপি নেতারা জানিয়ে দিলেন, রবিবার ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচিতে থাকতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলীয় সূত্রে দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে সে কথা উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর দেখা না মিললেও বর্ষশেষের আগে রাজ্যে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
দলীয় সূত্রে খবর, চলতি মাসে শাহের কলকাতায় আসার কথা ছিলই। কথা ছিল, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন মিটলেই বাংলায় আসবেন তিনি। কিন্তু তারিখ স্থির ছিল না। বৃহস্পতিবার শাহ-সফরের সম্ভাব্য দিন জানা গেল। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে, তাতে রবিবারের কর্মসূচির পর মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর শহরে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘গীতাপাঠ’ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ নিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ চোখে পড়েছিল শুরু থেকেই। মোদীর আসতে না-পারার খবরে তাতে ভাটা পড়া স্বাভাবিক। দলীয় সূত্রের বক্তব্য, এক দিনের ব্যবধানেই যে হেতু শাহের বঙ্গ সফরের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা হবে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর না-আসার সঙ্গে শাহের সফরের কোনও সম্পর্ক নেই। দলীয় সূত্রের দাবি, কয়েক ঘণ্টার জন্যই শহরে আসছেন শাহ। আর যেটুকু সময় থাকবেন, তা-ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেই কেটে যাবে। কর্মী-সমর্থকদের আলাদা করে বার্তা দেওয়ার হয়তো তেমন সময়-সুযোগ থাকবে না তাঁর। ২৬ তারিখেই তাঁর দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি কত দূর এগিয়েছে, সংগঠনে কোথায় কতটা ফাঁক রয়েছে, এ ব্যাপারেই হয়তো খোঁজখবর নেবেন উনি। মোদ্দাকথা রাজ্য নেতাদের কাছ থেকে সাংগঠনিক কাজের হিসাব চাইবেন।’’
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু শাহ নন, খুব শীঘ্রই কলকাতায় আসতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তবে তিনি বছরের শেষে আসবেন না কি নতুন বছরে, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। রাজ্য সভাপতি সুকান্তও জানিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগে নিয়মিত রাজ্যে সফর করবেন শাহ এবং নড্ডা। গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলার ভোট-প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে তাঁদের সফর চলবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে শাহের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত। সুকান্তের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও।