পার্থ চট্টোপাধ্যায়
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের ১০ জন ‘আত্মীয়’কে চাকরি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদেরকেও মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
রমেশ মালিক নামে প্রাথমিক শিক্ষক পদে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার ভিত্তিতে গত শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে একটি হলফনামা জমা পড়ে। তাতেই বিশ্বম্ভরের ১০ জন ‘আত্মীয়’-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। আদালতে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কী ভাবে একই পরিবারের এত জন সদস্য একই বছরে একসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেলেন?’’
বিশ্বম্ভরের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার দিবাকরপুর পঞ্চায়েতের প্রথমখণ্ড জালপাই গ্রামে। তবে বর্তমানে কলকাতায় থাকেন তিনি। অভিযোগ, পার্থ যে সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন বিশ্বম্ভর তাঁর নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়েই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হিসাবে চাকরি পান বিশ্বম্ভরের স্ত্রী রিনা, তাঁর দুই ভাই বংশীলাল ও দেবগোপাল। বিশ্বম্ভরের মাসতুতো ভাই পূর্ণ মণ্ডল, মাসতুতো বোন গায়ত্রী মণ্ডল, মেসোমশাই ভীষ্মদেব মণ্ডল, মাসতুতো জামাই সোমনাথ পণ্ডিত, শ্যালক অরূপ ভৌমিক, শ্যালিকা অঞ্জনা মণ্ডল, প্রতিবেশী অমলেশ রায়ও শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার তাঁদের সকলকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।