ভুবনেশ্বর এমসের পথে পার্থ। ছবি: পিটিআই।
এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে পার্থ পৌঁছে গিয়েছেন ওড়িশা। বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হল।
সকাল সাড়ে সাতটায় এসএসকেএম থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়েছিল পার্থকে। আটটা বাজতে কয়েক মিনিট তখনও বাকি। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে গেল অ্যাম্বুল্যান্স।
এসএসকেএম থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছল পার্থের অ্যাম্বুল্যান্স, গন্তব্য ভুবনেশ্বর এমস। পার্থকে নিয়ে সকাল আটটার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে গেল অ্যাম্বুল্যান্স। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক, ইডি আধিকারিকরা। এ বার এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হবে ভুবনেশ্বর।
বিমানবন্দরের পৌঁছলেন পার্থ। নিজস্ব চিত্র।
অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতা বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হবে ওড়িশার ভুবনেশ্বর। সেখানকার এমসে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা হবে।
কলকাতা বিমানবন্দরের পথে পার্থ। নিজস্ব চিত্র।
ভুবনেশ্বর এমসে গিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। হাই কোর্টের নির্দেশে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তোলা হল অ্যাম্বুল্যান্সে। গন্তব্য বিমানবন্দর। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ভুবনেশ্বর।
সোমবার বৃষ্টির সকালে এসএসকেএমের সামনে পৌঁছল অ্যাম্বুল্যান্স। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বর নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু। সকালে এসএসকেএম চত্বরে দেখা গেল পার্থের আইনজীবীকে। পার্থের সঙ্গে এসএসকেএমের কার্ডিওলোজি বিভাগের এক জন চিকিৎসকও ভুবনেশ্বর যাবেন বলে খবর। রবিবারের আদালতের নির্দেশও ছিল তাই।
এসএসকেএমের সামনে পার্থের আইনজীবী। নিজস্ব চিত্র।
সোমবার ভোরে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হবে। সঙ্গে যাবেন এসএসকেএমে পার্থর চিকিৎসক এবং আইনজীবী।এমস ভুবনেশ্বরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কার্ডিয়োলজি, নেফ্রোলজি, মেডিসিন, এন্ড্রোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে দল তৈরি করতে, যাঁরা পার্থের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। সোমবার বিকেল ৩টের মধ্যে এমস ভুবনেশ্বরকে পার্থর শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে রিপোর্ট দিতে হবে।
পার্থ-মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি বিবেক চৌধুরির নির্দেশ, ‘‘কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি ও জেনারেল মেডিসিন দিল্লির এমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে করানো হোক।’’ পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘দিল্লি কেন, কল্যাণী এমসেও হতে পারে।’’ ইডি আইনজীবীর দাবির প্রেক্ষিতে বিচারপতি চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘কল্যাণী এমসের উপর আমার ভরসা নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। আপনি ভুবনেশ্বর এমসে দেখুন।’’ যার পরে ইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।
এসএসসি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, এসএসকেএমে ভর্তি হওয়া যাবে না। ঘটনাচক্রে গ্রেফতারির পর সেই এসএসকেএমে ভর্তি হন পার্থ। যা নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ইডি এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। আদালতকে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘ওঁকে (পার্থ) সর্বোত্তম হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি আমরা। এমস কল্যাণীতে নিয়ে যাব। সঠিক পরীক্ষা হবে।’’
রবিবারের জরুরি শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বার বার এসএসকেএমে ভর্তি হতে চাওয়ার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ইডির আইনজীবী। সঙ্গে এ-ও বলেন যে, ওই হাসপাতালে গেলে ইডি অফিসারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল সহযোগিতা করছে না ইডির সঙ্গে। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী পার্থের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘এসএসকেএম প্রতিটি প্রভাবশালীর জন্য নিরাপদ জায়গা।’’ তিনি নাম নেন মদন মিত্র এবং অনুব্রত মণ্ডলের।