‘অপা’র সামনে ইডি। নিজস্ব চিত্র।
এসএসসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তে এ বার কলকাতা ছাড়িয়ে জেলায় জেলায় হানা ইডির। বুধবার সকালে বীরভূমের শান্তিনিকেতনে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। যাওয়া হয় ‘অপা’য়।
তদন্তে উঠে আসে শান্তিনিকেতনের ‘অপা’ বাড়িটির মালিক শুধুই ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ নন। বাড়ির দলিল দেখে বোলপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সেটাই জানান। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ এবং অর্পিতাকে জেরা করে শ্যামবাটির এই বাড়ির খোঁজ পান ইডি আধিকারিকেরা। অনেকেরই দাবি, অর্পিতা এবং পার্থের নামের আদ্যক্ষর জুড়ে নামকরণ এই বাড়ির।
গত ২২ জুলাই পার্থের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তাঁকে জেরা করে অর্পিতার টালিগঞ্জের আবাসনে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়। তার পর ইডি দাবি করে, অর্পিতা ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’। এর পর অর্পিতার বেলঘোরিয়ার একটি ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় প্রায় ২৭ কোটি টাকা। এ বার ‘অপা’তেও তেমন কিছু পাওয়া যাবে? বুধবার ‘অপা’র গেট ঠেলে সোজা অন্দরমহলে প্রবেশ করেন ইডি আধিকারিকরা। এখন সেখান থেকে কে বের হয়, তাই নিয়ে জোর জল্পনা।
জানা গিয়েছে, ‘অপা’ বাড়িটির জন্য ২০১২ সালে কলকাতার বাসিন্দা সুষেণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ওই জমি কেনা হয়। আট বছর পর জমির খতিয়ান রেকর্ড হয়। স্থানীয়েরা জানান, অর্পিতাকে প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করতে দেখা যেত। তবে পার্থকে কেউ কখনও দেখেননি।