মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের শীঘ্রই চাকরি দেওয়া হবে বলে জানাল কমিশন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
স্কুলে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় টানাপড়েনের আবহে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়ে দিল, ২০১৬ সালের প্যানেলের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুরনো মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁরা শীঘ্রই চাকরি পাবেন। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে এমনটাই জানালেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। রাজ্য মন্ত্রিসভা স্কুলে নতুন পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই কমিশন নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে নতুন করে ৬,৮৬১টি পদ তৈরি করা হচ্ছে। তার মধ্যে নবম-দশমে ১,৯৩২টি এবং একাদশ-দ্বাদশে ২৪৭টি পদ তৈরি করা হবে। এ ছাড়াও গ্রুপ সি-র জন্য ১,১০২টি এবং গ্রুপ ডি-র ১,৯৮০টি পদ রয়েছে। কর্মশিক্ষায় ৭৫০ এবং শারীরশিক্ষায় ৮৫০টি পদ রয়েছে ওই তালিকায়। হাই কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। শুক্রবার আদালতে এই তথ্য দিয়েছেন কমিশনের আইনজীবী সম্রাট সেন। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, মূলত তাঁরাই এত দিন চাকরির জন্য আন্দোলন করছিলেন। এ বার তাঁদেরই চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানাল কমিশন।
হঠাৎ নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মামলাকারী এবং আদালতের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেই আদালতে জানান মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য সরকারের এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আসলে চাপের কৌশল। মামলাকারী এবং আদালতের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’’
কমিশনের বিবৃতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ আদালতও। যেখানে আগের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এত অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ, সেখানে আবার নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে ‘আই ওয়াশ’ (চোখে ধুলো দেওয়া) বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। পরে অবশ্য তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘সরকারের নয়া বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে এসএসসি নিয়োগ মামলার সরাসরি সম্পর্ক আছে বলে মনে করছি না। ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কিছু সংশয় রয়েছে। ফলত, তা নিয়ে এখনই কিছু করবে না আদালত।’’