Suspect Arrested

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত! রাজ্য পুলিশের এসটিএফের জালে পানাগড়ের এক পড়ুয়া

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘আনসার আল ইসলাম’ নামে একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন রয়েছে বাংলাদেশে। ‘আল কায়দা’র সঙ্গেও ‘আনসার আল ইসলাম’-এর যোগ রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা, দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ২৩:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

জঙ্গি-যোগে গ্রেফতার রাজ্যের এক পড়ুয়া। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার পানাগড় থেকে মহম্মদ হাবিবুল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। ঘটনাচক্রে, পানাগড়েই ভারতীয় স্থলসেনা ও বায়ুসেনার ঘাঁটি রয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘আনসার আল ইসলাম’ নামে একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন রয়েছে বাংলাদেশে। ‘আল কায়দা’র সঙ্গেও ‘আনসার আল ইসলাম’-এর যোগ রয়েছে। বাংলাদেশেও সক্রিয় সেটি। সেই সংগঠনেরই একটি শাখা ‘শাহাদত’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হাবিবুল। তাঁর বিরুদ্ধে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত কাঁকসা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইনের (ইউএপিএ) ধারায় মামলায় হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘জঙ্গি সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এসটিএফ ও কাঁকসা থানার পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’ রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যেরা নিজেদের মধ্যে কথা চালাচালি করেন ‘বিআইপি’ নামে ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে।

শনিবার বিকেলে কাঁকসা থানার পানাগড়ের মীরেপাড়ার একটি বাড়িতে কাঁকসা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান এসটিএফের আধিকারিকেরা। সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয় হাবিবুলকে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, হাবিবুল মানকর কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর বাড়ি থেকে কিছু সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হাবিবুলকে প্রথমে আটকে কাঁকসা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

Advertisement

হাবিবুলকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল থানায়, সেই সময় সেখানে ডাকা হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। পল্লব থানা থেকে বেরোনোর পর বলেন, ‘‘যদি এই ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে, তা হলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তবে বাংলার প্রশাসন অত্যন্ত সজাগ। এই ঘটনার জেরে এলাকায় কোনও আতঙ্ক অবশ্য নেই। সব স্বাভাবিক। ছেলেটি মানকর কলেজে পড়াশোনা করত। বাবা খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement