—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে যাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন এবং ঘুষ দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি পাননি, তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছিল আদালত। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে জমা দিল সিবিআই। তার প্রেক্ষিতে এই মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করেছে আদালত। নিয়োগ দুর্নীতিতে এই প্রথম চার্জশিট গ্রহণ করল আদালত।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট মাসখানেক আগেই আদালতে জমা দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে ঘুষ দেওয়া প্রার্থীদের সাক্ষী হিসাবে দেখানো হয়েছিল। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক। এত দিন সেই চার্জশিট গ্রহণও করা হয়নি। শুক্রবার ঘুষ দেওয়া প্রার্থীদের তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে সেই চার্জশিট গ্রহণ করেছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।
তবে, যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন বা চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন, তাঁদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা তা সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারক। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘তালিকায় নাম থাকা অনেকের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তালিকায় আরও নাম রয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, আলিপুর বিশেষ আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত পাঁচটি মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। গত এক বছরে ওই পাঁচটি মামলায় মোট ন’টি (সাপ্লিমেন্টারি মিলিয়ে) চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। প্রাথমিক ছাড়া বাকি মামলার চার্জশিট এখনও গৃহীত হয়নি বলে আদালত সূত্রে খবর।
এ দিন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় শাসক দলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ ও শান্তিপ্রসাদ সিংহকে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁদের আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক বলে আদালত সূত্রে খবর।