বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার চর্চা উঠল স্পিকার ও সংসদ সংক্রান্ত সম্মেলনে। রাজ্য সরকারের তৈরি ‘অপরাজিতা’ আইনের উল্লেখ করে সরকারের মনোভাব বোঝালেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় আইন তৈরি হলেও অনুমোদনে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেই এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন তিনি।
দিল্লিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সভাপতিত্বে ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন’-এর ভারতের আঞ্চলিক সম্মেলন শুরু হয়েছে সোমবার। দু’দিন সম্মেলন চলবে। তাতে লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে রাজ্যগুলির স্পিকারেরাও যোগ দিয়েছেন। মূলত লোকসভা ও বিধানসভার কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এই সম্মেলনের প্রথম দিনই রাজ্যের ‘অভিজ্ঞতা’ জানিয়েছেন বিমান। তিনি এ দিন বলেন, ‘আর জি কর হাসপাতালে ভয়ঙ্কর অপরাধের পরে মুখ্যমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে ‘অপরাজিতা’ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেন। সেই মতো আইন পাশ করে তা রাজ্যপালের সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও তা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্মতি পাওয়া যায়নি’।
বিধানসভায় পাশ হওয়া আইনে রাজ্যপালের সম্মতি সংক্রান্ত জটিলতা সারা দেশেই চর্চায় বিষয় হয়ে উঠেছে। এ রাজ্যেও বিধানসভা, সরকার পক্ষ ও রাজভবনের মধ্যে এই টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। স্পিকার সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গে স্পিকার জানান, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া অন্তত ২০টি বিলে প্রয়োজনীয় সম্মতি মেলেনি। এতে রাজ্য সমস্যায় পড়েছে। বিষয়টিকে সম্মেলনের মূল আলোচ্যের সঙ্গে জুড়ে বিমান আরও বলেছেন, ‘এ ভাবে চললে উন্নয়নের যে লক্ষ্যের সঙ্গে আইনসভাকে জুড়ে দেওয়ার কথা বলছি, তা বাস্তবায়িত করা যাবে না’। সেই সূত্রেই ‘কন্যাশ্রী’, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর উল্লেখ করে ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ নিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন-ভাবনা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
উন্নয়নের কাজে বিধায়কদের সামনে বাধা হিসেবে কেন্দ্রীয় সংস্থার কথাও উল্লেখ করেছেন বিমান। গত কয়েক বছরে এ রাজ্যের একাধিক জনপ্রতিনিধি সিবিআই এবং ইডি-র তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক গ্রেফতারও হয়েছেন। তাতে তাঁদের কাজে সমস্যা হচ্ছে বলেও সম্মেলনে জানান তিনি।
সূত্রের খবর, গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকার ভাঙা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দিল্লির স্পিকার রামনিবাস গোয়েল।