‘কোর্ট’ বদল চেয়ে আবেদন শোভনের

শোভন ও রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় এখন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওই মামলা দায়ের হয়েছিল।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা অন্য কোনও আদালতে সরানোর জন্য আবেদন জানালেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আলিপুরের জেলা জজের কাছে সম্প্রতি তিনি ওই আবেদন জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, আলিপুর আদালতের বিচারক পুষ্পল শতপথীর এজলাসে শোভন ও তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। ওই বিচারকের আদালত থেকে মামলাটি সরিয়ে অন্য কোনও বিচারকের কাছে পাঠানোর জন্য ৩ অক্টোবর আবেদন জানিয়েছেন শোভন। আদালত সূত্রের খবর, সাত পাতার আবেদনে জেলা জজকে প্রাক্তন মেয়র জানিয়েছেন, তিনি আদালতে যে বক্তব্য পেশ করছেন, তা ঠিকমতো নথিভুক্ত হচ্ছে না। তাই বিচারক বদল করা হোক।

Advertisement

শোভন ও রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় এখন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওই মামলা দায়ের হয়েছিল। মাস ছয়েক মামলার শুনানির পরে দু’পক্ষের আইনজীবীদের সওয়ালের ধরনে সন্তুষ্ট না হয়ে আলিপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক জেলা জজকে জানিয়ে দেন তিনি আর মামলাটি শুনবেন না। পরে মামলাটি বিচারক পুষ্পল শতপথীর আদালতে পাঠানো হয়। যে সব অভিযোগ তুলে শোভন বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন, রত্নার আইনজীবীরা এখন সেই সব অভিযোগ নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করছেন শোভনকে।

আদালতের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শোভনের অভিযোগ, তিনি যে সব প্রশ্নের যা জবাব দিচ্ছেন, তা বিচারক শতপথীর আদালতের স্টেনোগ্রাফার সঠিক ভাবে নথিভুক্ত করছেন না। জেলা জজের কাছে শোভনের এ-ও অভিযোগ, স্টেনোগ্রাফার ঠিকমতো নথিভুক্ত করছেন না। বিচারক শতপথী তা-ও নজর করছেন না।

Advertisement

বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কিছু নির্দেশ রয়েছে বলে শোভনের দাবি। জেলা জজের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশও বিচারক শতপথী মানছেন না। রত্না মঙ্গলবার বলেন, ‘‘প্রতি শুনানিতে আমি এজলাসে হাজির থাকি। শোভনবাবু নিজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজেই সঠিক যুক্তি দিতে পারছেন না। হেরে হওয়ার ভয়ে এখন তিনি স্টেনোগ্রাফার ও বিচারকের উপর দোষারোপ করছেন।’’ আলিপুর দায়রা আদালতের সরকারি আইনজীবীদের একাংশের কথায়, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে আদালত চালু হবে। তার পরে জেলা জজের আদালতে শোভনবাবুর আবেদনের শুনানি হবে। তার পরেই ঠিক হবে ‘কোর্ট’ বদল হবে কি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement